জেলা সভাপতির দৌড়ে গৌতমও

হাইলাকান্দি কংগ্রেসে জেলা সভাপতি নির্বাচন ঘিরে টানাপড়েন চলছে। দলের অন্দরমহলের খবর, বিভিন্ন শিবিরের কংগ্রেস নেতারা সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই হাইলাকান্দিতে কোনও সংখ্যালঘু নেতাকে জেলা সভাপতি করার দাবি উঠেছিল। এত দিন তা নিয়ে তৎপরতা দেখা যায়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাইলাকান্দি শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০১৭ ০৩:২৬
Share:

হাইলাকান্দি কংগ্রেসে জেলা সভাপতি নির্বাচন ঘিরে টানাপড়েন চলছে।

Advertisement

দলের অন্দরমহলের খবর, বিভিন্ন শিবিরের কংগ্রেস নেতারা সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই হাইলাকান্দিতে কোনও সংখ্যালঘু নেতাকে জেলা সভাপতি করার দাবি উঠেছিল। এত দিন তা নিয়ে তৎপরতা দেখা যায়নি।

বর্তমানে ফের ওই দাবি জোরাল হয়েছে। বিধানসভা ভোটে হাইলাকান্দিতে কংগ্রেসের কেউই জিততে পারেননি। জেলার তিনটি বিধানসভা আসনেই পরাজিত হন কংগ্রেস প্রার্থীরা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন গৌতম রায় ও তাঁর ছেলে রাহুল। বিধানসভা ভোটের পর কয়েক দিন কার্যত নীরব ছিলেন গৌতমবাবু। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের রাজনীতির ময়দানে নেমেছেন তিনি। জেলার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন, জেলা কংগ্রেস ভবনে গিয়ে সংগঠনের বিষয়ে খোঁজখবরও নিচ্ছেন।

Advertisement

জেলা কংগ্রেসের বিভিন্ন মণ্ডলের পদাধিকারীদের মনোনয়নের পাশাপাশি জেলা সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে কংগ্রেসে। বর্তমান সভাপতি অশোক দত্তগুপ্ত অসুস্থতার জন্য আগের মতো দলকে সময় দিতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে জেলা কংগ্রেসে সভাপতি বদল প্রায় নিশ্চিত বলে কর্মীদের একাংশের ধারণা। তবে জেলা সভাপতি নির্বাচনের বিষয়ে তাঁর কাছে কোনও খবর নেই বলে দাবি করেছেন অশোকবাবু।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যজুড়ে দলীয় সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে চান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রিপুণ বরা। হাইলাকান্দিও তার ব্যতিক্রম নয়। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত সভা হয়েছে হাইলাকান্দির রাজীব ভবনে। দলীয় সূত্রে খবর, সেখানে বিভিন্ন মণ্ডল ও জিপি কমিটি নিয়ে আলোচনা করা হয়। পাশাপাশি জেলা সভাপতি পদে কাকে মনোনীত করা যায়, তা নিয়েও জল্পনা তুঙ্গে।

কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ খবর, হাইলাকান্দিতে জেলা কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে সংখ্যালঘু কোনও নেতাকে মনোনীত করতে চান দলের রাজ্য নেতৃত্বের একাংশ। কয়েকটি নাম নিয়ে দলের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা চলছে। ওই তালিকায় রয়েছে হাইলাকান্দি জেলা পরিষদের সভাধিপতি এনামউদ্দিন লস্কর, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিক রেজ্জাক আলি চৌধুরী, দলের বর্তমান সহ-সভাপতি ইসাক আলি বড়ভুঁইঞা, প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সদস্য সামসুল ইসলাম বড়লস্কর। কিন্তু ওই সব নেতাদের নিয়ে দ্বিমত রয়েছে জেলা কংগ্রেসের কর্মীদের মধ্যে। কেউ কেউ চান, জেলা সভাপতি যেন সমস্ত ভাষা, ধর্মের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চলতে পারেন। তাঁরা গৌতমবাবুর পক্ষে মত ব্যক্ত করেছেন। দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দিন বড়লস্করও গৌতমবাবুর পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন। এ বিষয়ে গৌতমবাবু কোনও মন্তব্য করেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন