আয়কর ভবন।— ফাইল চিত্র।
নির্বাচনের আগে এবং ভোটে জিতে জনপ্রতিনিধি হওয়া— এই দুয়ের মধ্যে নেতাদের সম্পত্তির হিসাবে বিপুল ফারাক! এমন সাংসদ এবং বিধায়কদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের ভর্ত্সনার মুখে পড়তে হল কেন্দ্রকে। চাপের মুখে তড়িঘড়ি তারা শীর্ষ আদালতে জানাল, গোটা বিষয়টিতে এ বার নজর দেওয়া হবে।
এই মুহূর্তে একটি অসরকারি সংস্থার করা জনস্বার্থ মামলার শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার প্রশ্নের মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় সরকার শীর্ষ আদালতকে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। মামলাটির শুনানি চলা কালে আয়কর দফতরও তাদের মতামত জানিয়েছে। এই মামলার যে বাস্তব ভিত্তি রয়েছে, সে কথা তারা আদালকে জানায়। তারা জানায়, ভোটে জেতার পরেই বেশ কিছু সাংসদ এবং বিধায়কের সম্পত্তির পরিমাণ হঠাত্ করেই বেড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন
পৈশাচিক! গণধর্ষণের পর যৌনাঙ্গে বিয়ারের বোতল
সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডিরেক্ট ট্যাক্স (সিবিডিটি) শীর্য আদালতকে জানায়, ৭ জন সাংসদ এবং বিভিন্ন রাজ্যের ৯৮ জন বিধায়কের নাম এই তালিকায় রয়েছে। ওই ১০৫ জন জনপ্রতিনিধির সম্পত্তি পরিমাণ বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। বোর্ড আরও জানিয়েছে, আয়কর দফতর প্রাথমিক তদন্তে ওই সাংসদ-বিধায়কদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রমাণ পেয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অন্য ৪২ জন বিধায়কের বিরুদ্ধেও অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে। সেই নামের তালিকা শীর্ষ আদালতের কাছে সিলবন্দি অবস্থায় জমা দেওয়া হবে।
বিচারপতি জে চেলামেশ্বরের নেতৃত্বাধীন এক বেঞ্চ এর আগে এই বিষয়ে সরকারের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করে। ওই বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে, আয়কর বিভাগকে জমা দেওয়া রিটার্ন এবং নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া সম্পত্তির হিসেব— এই দুয়ের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে যাঁদের, তাঁদের বিরুদ্ধে সরকার কি কখনও কোনও তদন্ত করেছে? কটাক্ষ করে বেঞ্চ বলে, ‘‘সরকার এক দিকে নির্বাচনী সংস্কারের কথা বলে, অন্য দিকে তার কোনও সময় সীমার রূপায়ণ করে পারে না।’’
আরও পড়ুন
সিবিআই জেরায় মুকুল, শুভেন্দুর হাজিরা ইডি-তে
শীর্ষ আদালতের কাছে এই মামলায় আর্জি জানানো হয়, শুধুমাত্র জনপ্রতিনিধিদের নয়, তাঁদের সন্তানদের সম্পত্তির পরিমাণও সাধারণের সমক্ষে আনতে হবে।