সেনা ঘাঁটি বাঁচাতে আর্থিক ক্ষমতা বাহিনীকে

জম্মু-কাশ্মীরে উরির বায়ুসেনা ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার পরেও এই ধরনের স্পর্শকাতর সেনাঘাঁটিতে নিরাপত্তার ফাঁকফোকর প্রকাশ্যে আসে। আগেও পঠানকোটের মতো নিয়ন্ত্রণ রেখা বা সীমান্তবর্তী এলাকায় একাধিক সেনা বা আধা সেনাঘাঁটিতে জঙ্গি হামলা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৭ ০৩:২৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

উরির বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে সামরিক বাহিনীকে বাড়তি ক্ষমতা দিল নরেন্দ্র মোদী সরকার।

Advertisement

এ বার থেকে সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্তারাই সেনা ঘাঁটির নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য কাজের বরাত দেওয়া, নিরাপত্তা সরঞ্জাম কেনার জন্য তাদের দিল্লির প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখাপেক্ষী হয়ে বসে থাকতে হবে না। তারা নিজেরাই সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। এ জন্য তিন সামরিক বাহিনীরই উপপ্রধানকে বাড়তি আর্থিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

জম্মু-কাশ্মীরে উরির বায়ুসেনা ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার পরেও এই ধরনের স্পর্শকাতর সেনাঘাঁটিতে নিরাপত্তার ফাঁকফোকর প্রকাশ্যে আসে। আগেও পঠানকোটের মতো নিয়ন্ত্রণ রেখা বা সীমান্তবর্তী এলাকায় একাধিক সেনা বা আধা সেনাঘাঁটিতে জঙ্গি হামলা হয়েছে। উরির হামলার তদন্তে স্পষ্ট হয়, লাল ফিতের ফাঁসে সেনা ঘাঁটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা মজবুত করার কাজ আটকে থাকছে। বায়ুসেনা বা সেনা কর্তাদের প্রস্তাব এসে পড়ে থাকছে সাউথ ব্লকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কর্তাদের টেবিলে। এর পরেই সেনা কর্তাদের হাতেই আরও বেশি টাকা খরচ আর প্রয়োজনীয় কাজের বরাত দেওয়ার ক্ষমতা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক আজ জানিয়েছে, সেনা কর্তাদের হাতে এতখানি ক্ষমতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত অভূতপূর্ব। এর ফলে সেনা ঘাঁটির সীমানার নিরাপত্তার আধুনিকীকরণে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। বাড়তি ক্ষমতা নয়, সেনা ঘাঁটিগুলির নিরাপত্তা বাড়াতে নির্দিষ্ট সময়সীমাও স্থির করে দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলি। যাতে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটির নিরাপত্তা মজবুত করার কাজ হয়।

Advertisement

চলতি মাসেই সেনাবাহিনীর উপপ্রধানকে ৪৬ রকম গোলাবারুদ সরাসরি কেনার ক্ষমতা দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। স্বল্পমেয়াদী যুদ্ধে প্রয়োজনীয় গোলাবারুদের অভাব যাতে না হয়, সে জন্যই এই সিদ্ধান্ত। এমনিতেই সেনার হাতে দীর্ঘদিন যুদ্ধ চালানোর জন্য গোলাবারুদের অভাব রয়েছে বলে সম্প্রতি সংসদে রিপোর্ট দিয়েছে সিএজি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের যুক্তি, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই সেই অভাব মিটে যাবে। তার আগে ১০-১৫ দিনের জন্য কারগিলের ধাঁচের যুদ্ধ চালাতে সেনার হাতে যাতে গোলাবারুদ থাকে, সে জন্যই সেনার উপপ্রধানকে ওই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন