GPS Spoofing at Airports

দেশের একাধিক বিমানবন্দরে ‘জিপিএস স্পুফিং’ ঘটেছে! সংসদে স্বীকার করল কেন্দ্র, দাবি, ব্যাহত হয়নি বিমান পরিষেবা

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, গত মাসে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ‘জিপিএস স্পুফিং’ ঘটেছিল। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই ত্রুটির জেরে কয়েকশো বিমানের সময়সূচি বদলাতে হয়েছিল কর্তৃপক্ষকে। যদিও রামমোহনের দাবি, আদৌ ব্যাহত হয়নি বিমান চলাচল।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৫ ২১:৫০
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

দিল্লি, কলকাতা কিংবা মুম্বইয়ের মতো দেশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরে ‘জিপিএস স্পুফিং’ এবং ‘জিএনএসএস ইন্টারফেরেন্স’-এর মতো গুরুতর ঘটনা ঘটছে! এ বার সংসদে এই তথ্য মেনে নিল কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার রাজ্যসভায় লিখিত আকারে এই তথ্য পেশ করেছেন কেন্দ্রের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী রামমোহন নায়ড়ু। যদিও তাঁর দাবি, এর জেরে বিমান পরিষেবা বিঘ্নিত হয়নি।

Advertisement

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, গত মাসে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ‘জিপিএস স্পুফিং’ ঘটেছিল। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই ত্রুটির জেরে কয়েকশো বিমানের সময়সূচি বদলাতে হয়েছিল কর্তৃপক্ষকে। যদিও রামমোহনের দাবি, আদৌ ব্যাহত হয়নি বিমান চলাচল। জিপিএস-ভিত্তিক অবতরণের সময় যে স্পুফিং-এর ঘটনা ঘটেছিল, তা হয়েছিল ১০ নম্বর রানওয়েতে। সঙ্গে সঙ্গে পাইলটরা কন্টিনজেন্সি প্রোটোকল চালু করে দেন। তা ছাড়া, ১০ নম্বর রানওয়ে বাদে বাকি রানওয়েগুলিতে প্রচলিত গ্রাউন্ড নেভিগেশন ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়। ফলে ওই দিন অন্যান্য রানওয়েতে স্বাভাবিক ভাবেই বিমান ওঠানামা চলতে থাকে বলে মন্ত্রীর দাবি।

জিপিএস স্পুফিং এক ধরনের সাইবার হামলা। এর মাধ্যমে নেভিগেশন সিস্টেমে ভুয়ো স্যাটেলাইট সঙ্কেত পাঠানো হয়। ফলে পাইলটেরা বিমানের সঠিক অবস্থান বুঝতে পারেন না। এমনটা হলে বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বেড়ে যায়। সম্প্রতি এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, গত ৬ নভেম্বর দিল্লি বিমানবন্দরে এমনই এক জিপিএস হানায় প্রায় ৮০০টি উড়ান বিলম্বিত হয়। তবে জিপিএস হানা ঘটেছে, তা মেনে নিলেও উড়ানে বিলম্বের দাবি উড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।

Advertisement

অবশ্য এই ধরনের ঘটনা নতুন নয়। দিল্লির পাশাপাশি কলকাতা, অমৃতসর, মুম্বই, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু কিংবা চেন্নাইয়ের মতো দেশের বড় বড় বিমানবন্দরগুলিতেও এমনটা ঘটছে। এ নিয়ে ২০২৩ সালের শেষের দিকে একটি নির্দেশিকাও জারি করেছিল অসামরিক বিমান চলাচল দফতর (ডিজিসিএ)। এ ধরনের ঘটনা ঘটলেই তৎক্ষণাৎ অভিযোগ দায়ের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সতর্ক করে আরও জানিয়েছেন, সারা বিশ্বের বিমান চলাচল ব্যবস্থাকে বিঘ্নিত করতে নানা র‍্যানসমওয়্যার এবং ম্যালওয়্যার হানার ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। এ ধরনের সাইবার হামলার মোকাবিলা করতে ন্যাশনাল ক্রিটিক্যাল ইনফরমেশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রোটেকশন সেন্টার (এনসিআইআইপিসি) এবং ইন্ডিয়ান কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম (সিইআরটি-ইন)-এর জারি করা নির্দেশিকা অনুযায়ী দেশের সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করার কথা ভাবা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement