গ্রেনেড হামলা, সংঘর্ষে উত্তপ্ত কাশ্মীর

অন্য দিকে গত কাল রাত থেকেই পুলওয়ামায় জঙ্গিদের সঙ্গে বাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয়। তাতে অন্তত দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর,  জঙ্গিরা স্থানীয় বাসিন্দা।  

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শ্রীনগর শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:৪৭
Share:

ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশবাহিনী।—ছবি এপি।

পর পর গ্রেনেড হানায় আজ উত্তপ্ত হল কাশ্মীর। পাশাপাশি পুলওয়ামায় বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হল দুই জঙ্গি।

Advertisement

আজ সকালে অনন্তনাগে গ্রেনেড হামলায় এক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ও এক সরকারি কর্মীর মৃত্যু হয়ে। ওয়াগুরা জেলায় ‘ব্যাক টু ভিলেজ’ প্রকল্পের অধীনে সরকারি প্রকল্পের কাজকর্ম দেখছিলেন সরকারি কর্মীরা। তখনই গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিরা। ঘটনাস্থলেই ওই পঞ্চায়েত প্রধান ও সরকারি কর্মীর মৃত্যু হয়। জখম হয়েছেন অন্তত চার জন।

এর পরে দুপুরে কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে গ্রেনেড হামলায় দু’জন আহত হয়েছেন বলে খবর। পুলিশ জানিয়েছে, আজ কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যর সৈয়দ গেটের কাছে বিস্ফোরণটি ঘটে। পুলিশের ধারণা, উল্টো দিকের একটি রেস্তোঁরাকেই নিশানা করেছিল জঙ্গিরা। হামলায় তিন জন জখম হয়েছেন। তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে ঘটনাস্থল।

Advertisement

অন্য দিকে গত কাল রাত থেকেই পুলওয়ামায় জঙ্গিদের সঙ্গে বাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয়। তাতে অন্তত দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, জঙ্গিরা স্থানীয় বাসিন্দা।

আজ সুপ্রিম কোর্টে বিশেষ মর্যাদা লোপের আগে কাশ্মীরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইন্টারনেট বন্ধ করার কারণ হিসেবে ফের জঙ্গি কার্যকলাপকেই তুলে ধরেছে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন। তাদের আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিচ্ছিন্নতাবাদী, জঙ্গি সংগঠন ও পাকিস্তানি সেনা ‘জেহাদ’! ছড়ানোর চেষ্টা করছিল। মেহবুবা মুফতি ও ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতাদের বক্তৃতা ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত বক্তব্যেও অশান্তি ছড়াতে পারত। তাই পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে পুলিশ অফিসারদের রিপোর্ট মুখবন্ধ খামে জমা দিতে যান মেহতা। কিন্তু আবেদনকারীর আইনজীবী কপিল সিব্বল ও বৃন্দা গ্রোভার জানান, নতুন নথি জমা দিলে তাঁদের সেই নথির বক্তব্যের জবাব দেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত। মেহতা জানান, ওই নথি জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত। তাই আদালত ছাড়া কোনও পক্ষকে ওই নথি দেওয়া যাবে না। আদালত অবশ্য ওই নথি খতিয়ে দেখতে রাজি হয়নি। বরং বেঞ্চ কাশ্মীরে সাংবাদিকদের উপরে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। মেহতা জানান, সাংবাদিকদের নিষেধাজ্ঞা নেই। তাঁদের মিডিয়া পাস দেওয়া হয়েছে। খবর পাঠানোর সুবিধের জন্য শ্রীনগরে মিডিয়া সেন্টারও খোলা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন