জিএসটি সময়েই, জানালেন জেটলি

রাজ্যের পাল্টা বক্তব্য, তারা জিএসটির পক্ষে, তবে তাড়াহুড়ো করে তা চালু করার পক্ষে নয়। বিশেষ করে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যখন সময় রয়েছে। নবান্নের মতে, কেন্দ্র শেষ পর্যন্ত বুঝবে, প্রস্তুতি পর্যাপ্ত নয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৭ ০৩:৫৫
Share:

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন ১ জুলাই থেকে জিএসটি চালু করার পক্ষপাতী নন, তা আজ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ও সব রাজ্যের সামনে তুলে ধরলেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। কিন্তু দিনভর জিএসটি পরিষদের বৈঠক শেষে জেটলি জানিয়ে দিলেন, পশ্চিমবঙ্গের মতের সঙ্গে বাকি রাজ্য সহমত নয়।

Advertisement

কিন্তু মমতা বেঁকে বসলে কী হবে? জেটলির আশা, শেষ পর্যন্ত রাজি হবেন তৃণমূল নেত্রী। আর কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের বক্তব্য, জিএসটি চালু না করলে রাজ্যই বিপাকে পড়বে। কারণ, দেশের অন্যত্র জিএসটি চালুর ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা নেই। সংবিধানগত ভাবে ১ সেপ্টেম্বর থেকে তা চালু করতেই হবে। তখনও যদি রাজ্য অনড় থাকে, তা হলে তাদের রোজগারের বড় অংশই বন্ধ হয়ে যাবে।

রাজ্যের পাল্টা বক্তব্য, তারা জিএসটির পক্ষে, তবে তাড়াহুড়ো করে তা চালু করার পক্ষে নয়। বিশেষ করে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যখন সময় রয়েছে। নবান্নের মতে, কেন্দ্র শেষ পর্যন্ত বুঝবে, প্রস্তুতি পর্যাপ্ত নয়। শেষ লগ্নে তারা দিন পিছিয়ে দেবে। আর তা না হলে রাজ্যেরও ‘প্ল্যান-বি’ তৈরি।

Advertisement

অর্থ মন্ত্রকের কিছু কর্তার মতে, তৃণমূল রাজনীতি করছে। কিন্তু তাঁরা এ-ও বলছেন, রাজ্য যে সব সমস্যা তুলে ধরেছে, তার অনেকগুলিই যুক্তিসঙ্গত। এই পরিস্থিতিতে জিএসটি প্রস্তুতি নিয়ে আগামী বুধবার বৈঠক করবেন মোদী। তার পরে ১১ জুন ফের জিএসটি পরিষদের বৈঠক বসবে সমস্যাগুলি দূর করার লক্ষ্যে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন