Cobbler

চর্মকারের ব্যাঙ্কে ১০ লাখ, তলব করল আয়কর দফতর

সারা দিন জুতো সারাই করে ২০০ টাকার বেশি রোজগার হয় না! তাঁর হাতেই ইনকাম ট্যাক্সের নোটিস ধরাল আয়কর দফতর। তিনি নাকি নোট-বন্দি চলাকালীন নিজের অ্যাকাউন্টে হিসাব বহির্ভূত ভাবে ১০ লাখ টাকার লেনদেন করেছেন। আগে থেকেই ফুটপাথে থাকতেন! এ বার যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল!

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৭ ১৭:২২
Share:

ছবি- এএফপি

সারা দিন জুতো সারাই করে ২০০ টাকার বেশি রোজগার হয় না! তাঁর হাতেই ইনকাম ট্যাক্সের নোটিস ধরাল আয়কর দফতর। তিনি নাকি নোট-বন্দি চলাকালীন নিজের অ্যাকাউন্টে হিসাব বহির্ভূত ভাবে ১০ লাখ টাকার লেনদেন করেছেন।

Advertisement

আগে থেকেই ফুটপাথে থাকতেন! এ বার যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল!

আরও পড়ুন- সদ্যোজাতকে হাসপাতালে বাথরুমের জলে চুবিয়ে মারলেন মা!

Advertisement

আমদাবাদের জুনাগড় শহরের এমজি রোডের ফুটপাথে জুতো মেরামতির একটি দোকান রয়েছে ৫৫ বছরের মনসুখ মাকওয়ানার। গত ২৫ বছর ধরে ফুটপাথে বসেই জুতো সারিয়ে জীবন সংগ্রাম চালিয়ে আসছেন তিনি। শনিবার সেই ফুটপাথেই আয়কর দফতরে নোটিস পৌঁছয় মাকওয়ানার হাতে। আর ওই নোটিস হাতে পেয়ে রীতিমতো বাকরুদ্ধ তিনি। মাকওয়ানা বলেন, “আমি জীবনে এত টাকা কখনও কামাইনি। দিনে বড় জোর ২০০ টাকা রোজগার করি। তা হলে কী ভাবে এত টাকা ব্যাঙ্কে জমা করব। এই নোটিস পেয়ে আমার এখন সুইসাইড করার জোগাড় হয়ে উঠেছে।”

মাকওয়ানার একটি জন ধন অ্যাকাউন্ট রয়েছে বরোদা ব্যাঙ্কে। তবে, সেই ব্যাঙ্কে তাঁর অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্টে এ রকম কোনও টাকার লেনদেন হয়নি বলে দাবি করেন মাকওয়ানা। এই খবর চাউর হতেই ছুটে আসেন জুনাগড়ের বিধায়ক মহেন্দ্র মশরু। ওই বিজেপি নেতা জানান, আয়কর দফতরে কোনও প্রযুক্তিগত সমস্যার জন্যই এই ভুলটা হয়েছে। মাকওয়ানার ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্টে এমন কোনও অসঙ্গিতপূর্ণ লেনদেন নেই বলে জানান মশরু।

গত বছরের ৮ নভেম্বর ৫০০ এবং হাজার টাকার নোটকে বাতিল ঘোষণা করে কেন্দ্র। সেই সময় আয়কর দফতর জানিয়েছিল, বাতিল নোট জমার ক্ষেত্রে হিসাব বর্হিভূত কোনও লেনদেন হলেই ডাকা হবে গ্রাহককে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement