পুলিশকর্মীর অভিযুক্ত পুত্র। ছবি: সংগৃহীত।
বন্ধুর সঙ্গে বাজি ধরেছিলেন কে কত জোরে গাড়ি ছোটাতে পারেন। আর সেই বাজি জিততে গিয়েই দুই পথচারীকে পিষে মারার অভিযোগ উঠল গুজরাতের পুলিশকর্মীর পুত্রের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দু’জন। ঘটনাটি ভাবনগরের।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত যুবকের নাম হর্ষরাজ সিংহ গোহিল। তিনি ভাবনগর পুলিশের অপরাধদমন শাখার অ্যাসিসট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর (এএসআই) অনুরুদ্ধ সিংহ বাজুভা গোহিলের পুত্র। হর্ষরাজ এক বন্ধুর সঙ্গে বাজি ধরেছিলেন, ভিড় রাস্তা দিয়ে জোরে গাড়ি চালাবেন। আর সেই পরিকল্পনা মতো নিজের এসইউভি নিয়ে আসেন। তাঁর বন্ধুও নিজের গাড়ি নিয়ে এসেছিলেন। ঠিক হয়েছিল কালিয়াবীড় এলাকা দিয়েই গাড়ি ছোটাবেন।
প্রসঙ্গত, এই রাস্তা সর্ব ক্ষণ ব্যস্ত থাকে। আর সেই ব্যস্ত রাস্তাতেই গাড়ি ছোটানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন এএসআই-পুত্র হর্ষরাজ। বিকেল ৪টে নাগাদ গাড়ি ছোটানো (রেস) শুরু করেন তাঁরা। ঘণ্টায় ১২০-১৫০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি ছোটানো শুরু করেন হর্ষরাজ। গাড়ি ছোটানোর পর মুহূর্তেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন এএসআই-পুত্র। দুই পথচারীকে পিষে মারেন। তার পর গাড়িটি গিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দুই বাইকআরোহীকে ধাক্কা মেরে উল্টে যায়। ওই দুই বাইকআরোহী আহত হন। রাস্তার পাশে দাঁড় করানো বেশ কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতেরা হলেন ভর্গাব ভট্ট (৩০) এবং চম্পাবেন বচানি (৬৫)। ঘটনাস্থলে দু’জনেরই মৃত্যু হয়। গত বছরেই বিয়ে হয়েছিল ভার্গবের। কাজে যাওয়ার পথে এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, গাড়ি চালানোর শখ রয়েছে হর্ষরাজের। মাঝেমধ্যেই বন্ধুদের সঙ্গে গাড়ির রেস করেন তিনি। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোন হর্ষরাজের বাবা। পুত্রকে মারধরের পর নিজেই পুলিশের হাতে তুলে দেন।