হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। ভোটের মুখে ঝাড়খণ্ডে মাওবাদী নাশকতার সেই আশঙ্কা অনেকটা সত্যি হল গুমলায়। আজ সেখানে জঙ্গি হামলায় জখম হলেন ‘কোবরা’ বাহিনীর এক জওয়ান।
২৫ নভেম্বর ভোটগ্রহণ হবে গুমলায়। জঙ্গি হামলা রুখতে তাই সেখানে প্রশাসন বাড়তি সতর্ক। এ দিন সকালে ওই জেলার বিষুণপুর থানার কুমারির জঙ্গলে যৌথবাহিনী তল্লাশি চালাচ্ছিল। গুমলার এসপি ভীমসেন টুটি জানান, সকাল ৬টা নাগাদ জওয়ানদের দিকে গুলিবৃষ্টি শুরু করে জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা মাওবাদীরা। আচমকা ওই হামলায় গুলিবিদ্ধ হন সন্তোষ কুমার নামে এক কোবরা জওয়ান। তাঁকে নিরাপদ জায়গায় সরানোর পর পাল্টা জবাব দেয় নিরাপত্তা বাহিনীও। দু’পক্ষে ঘণ্টাতিনেক সংঘর্ষ হয়। বেগতিক দেখে আরও ঘন জঙ্গলে ঢুকে যায় জঙ্গিরা। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, রক্তাক্ত অবস্থায় তিন জঙ্গিকে তাদের সঙ্গীরা জঙ্গলে নিয়ে গিয়েছে। সম্ভবত তিন জনেরই মৃত্যু হয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে এখনও তেমন কোনও সূত্র মেলেনি বলে দাবি করেছে পুলিশ। গুরুতর আহত ওই জওয়ানকে রাঁচির হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঝাড়খণ্ড পুলিশের মুখপাত্র অনুরাগ গুপ্ত জানিয়েছেন, মাওবাদীদের খোঁজে জঙ্গলের আশপাশে সিআরপি, রাজ্য পুলিশ এবং কোবরা বাহিনীর জওয়ানরা তল্লাশি চালাচ্ছেন।
ভোটের মুখে ঝাড়খণ্ডে বড় নাশকতার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, সংগঠনে অন্তর্দ্বন্দ্ব, নিরাপত্তাবাহিনীর তল্লাশি ও সদস্য সংখ্যার অভাবে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে মাওবাদীরা অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি বদলাতেই ভোটের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত ঝাড়খণ্ডে বড় হামলার ছক কষছে তারা। তাতে প্রচার পাওয়া যাবে। মনোবল ফিরবে মাওবাদী ক্যাডারদেরও। একই আশঙ্কা রয়েছে ছত্তীসগঢ়েও। সে দিকে তাকিয়ে ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির পুলিশ-প্রশাসনকে সতর্ক করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ঝাড়খণ্ড পুলিশ সূত্রের খবর, ভোটের সময় জঙ্গি নাশকতা রুখতে এখন থেকেই গুমলা, লোহারডাগা, লাতেহারের মতো মাওবাদী প্রবণ জেলায় জোরদার অভিযান চলছে।