গুরমিত রাম রহিম সিংহ।— ফাইল ছবি।
কেটে গিয়েছে দুটো দিন। এখনও যেন ঘোর কাটেনি সাচ্চা সিংহের। যা শুনেছেন, তা বিশ্বাসই করতে পারছেন না তিনি।
করবেনই বা কি করে?
যে বন্ধুর সঙ্গে মাঠের পর মাঠ, খেতের পর খেত ছুটে বেরিয়েছেন। কেটেছে ছোটবেলায় বছরের পর বছর— সেই বন্ধুই নাকি ধর্ষণে অভিযুক্ত! এককালের ‘প্রিয়’ বন্ধুর বিরুদ্ধে এতগুলো গুরুতর অভিযোগ শুনে স্তম্ভিত সাচ্চার মতো গুরমিত রাম রহিম সিংহের অন্য বন্ধুরাও।
আরও পড়ুন: ‘বাবা’র মতোই বর্ণময় চরিত্র, কে এই হানিপ্রীত
তাঁরা জানাচ্ছেন, বনেদি বড়লোক পরিবারের সন্তান গুরমিত পড়াশোনায় বরাবরই মেধাবী। শুধুমাত্র লেখাপড়াই নয়, খেলাধূলা থেকে অন্যান্য কাজকর্ম, সবেতেই গুরমিতের ধারে কাছে ছিল না কেউ-ই। গ্রামবাসীদের কথায়, “পরিবারের একমাত্র ছেলে গুরমিত ছোট থেকেই ছিল বাবা-মায়ের নয়নের মণি। ছোট্ট গুরমিতের অমায়িক ব্যবহার পড়া-প্রতিবেশীদের কাছেও তাকে জনপ্রিয় করে তুলেছিল। স্কুলের স্যরেরা তাকে খুব ভালবাসত।”
আরও পড়ুন: ‘বাবা’র পালিত কন্যা হানিপ্রীত কি ডেরা-র নতুন দাবিদার? জল্পনা তুঙ্গে
যে দিন ডেরা সচ্চা সৌদার দায়িত্ব পেয়েছিলেন, সেই দিনটা আজও ভুলতে পারেননি গুরমিতের বন্ধুরা। সারাটা রাত জেগে কাটিয়ে ছিলেন তাঁরা। একই ছবি ছিল রাজস্থানের গোটা শ্রী গঙ্গানগর জেলার। এখানেই ১৯৬৭ সালের ১৫ অগস্ট জন্মেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভূমিশয্যায় রাম রহিম, আপাতত ক্ষান্ত ভক্তরা
আজ পরিস্থিতি সম্পূর্ণ পাল্টে গিয়েছে। ছোটবেলার সেই কাছের বন্ধু আজ জেলবন্দি। ধর্ষণের অপরাধ প্রমাণিত। সোমবার শাস্তির মেয়াদ জানাবে আদালত। ক্ষমতা আর প্রতিপত্তির লোভ যে মানুষকে এতটা নীচে নামাতে পারে, তা যেন বিশ্বাস হচ্ছে না সাচ্চাদের।