গুরুগ্রামে শিশু-খুনে সিবিআই তদন্ত দাবি

একই সঙ্গে আজ সর্ব্বোচ্চ আদালতের পক্ষ থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তার প্রশ্নে স্কুলের ভূমিকা কী হওয়া উচিত, সে বিষয়ে একটি নির্দেশিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিবিএসই-কে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৪:১২
Share:

দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র প্রদ্যুম্ন ঠাকুর হত্যা কাণ্ডে রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের দুই কর্তাকে গ্রেফতার করল হরিয়ানা পুলিশ। পাশাপাশি প্রদ্যুম্নের পিতা বরুণ ঠাকুর আজ ওই হত্যাকাণ্ডের সিবিআই তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলে, বিষয়টি নিয়ে জবাব চেয়ে সিবিএসই কর্তৃপক্ষ ও হরিয়ানা সরকারের কাছে নোটিস পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত। একই সঙ্গে আজ সর্ব্বোচ্চ আদালতের পক্ষ থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তার প্রশ্নে স্কুলের ভূমিকা কী হওয়া উচিত, সে বিষয়ে একটি নির্দেশিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিবিএসই-কে।

Advertisement

ঘটনার পরের দিনেই মূল অভিযুক্ত বাস কন্ডাক্টর অশোক কুমারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর কাল রাতে প্রশাসনিক গাফিলতি ও হেফাজতে থাকে শিশুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগে রায়ান ইন্টারন্যাশনাল গোষ্ঠীর আঞ্চলিক (উত্তর) অধিকর্তা ফ্রান্সিস টমাস এবং মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান জেউস টমাসকে গ্রেফতার করে হরিয়ানা পুলিশ। তাদের দু’দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ওই দু’জনের বিরুদ্ধে নাবালক বিচার আইনের ৭৫ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, রায়ানের বসন্ত কুঞ্জ শাখার স্কুলে সুইমিং পুলে এক ছাত্রের মৃত্যুতেও ফ্রান্সিসের নামে অভিযোগ রয়েছে।

এরই মধ্যে বাস চালকের বিতর্কিত মন্তব্যে নুতন করে উত্তেজনা ছড়ায়। বাস-চালক সৌরভ রাঘব সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, অশোক গ্রেফতার হওয়ার পরে তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল পুলিশ। সেখানে উপস্থিত ছিল স্কুলের বেশ কিছু পদস্থ কর্তা। সৌরভের অভিযোগ, যে ছুরিটি দিয়ে খুন করা হয়েছে সেটি তার বাসের যন্ত্রপাতির বাক্সে ছিল বলে জবানবন্দিতে স্বীকার করে নিতে চাপ দেয় পুলিশ ও পদস্থ কর্তারা। তিনি রাজি হননি। শুরু থেকেই স্কুল কর্তারা তদন্ত প্রভাবিত করছেন বলে অভিযোগ করছিলেন ছাত্রের বাবা বরুণ। আজ তাই তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই তদন্তের দাবি জানান তিনি। শুনানিতে বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের জবাব চেয়ে নোটিস পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট। যদিও সিবিআই তদন্তে তাদের কোনও আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। আজ দুপুরে ছাত্রের পিতা বরুণের সঙ্গেও একপ্রস্থ কথা বলেন তিনি।

Advertisement

যে ভাবে স্কুলে ওই ঘটনাটি ঘটেছে তাতে শিশুদের নিরাপত্তার প্রশ্নে উদ্বিগ্ন শীর্ষ আদালতও। সেই কারণে আজ সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে আলাদা করে একটি নোটিস পাঠানো হয় সিবিএসইকে। স্কুলে আসার পর শিশুদের নিরাপত্তার দায়বদ্ধতা কার হাতে থাকবে, সে নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা বানানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরও পরে জানিয়েছেন, ‘‘মন্ত্রকও শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। এ ব্যাপারে সিবিএসই-কে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন