Ration

রেশনের জন্য ছোটাছুটি, দু’বছর পর একসঙ্গে ১৭ কুইন্টাল চাল-গম পেলেন হরিদ্বারের বাসিন্দা

২০২১ সালের ডিসেম্বরে রেশন কার্ড নম্বর পেয়েছিলেন। তবে সেই কার্ডের নথিপত্র হাতে পাননি। ফলে মাসের পর মাস কেটে গেলেও সে রেশন পাচ্ছিলেন না হরিদ্বারের বাসিন্দা রাজেশ কুমার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

দেহরাদূন শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৩ ১৯:৫১
Share:

হরিদ্বারের বাসিন্দা রাজেশ কুমারের সংসারে আগামী কয়েক মরসুমের অন্নের চিন্তা মিটেছে। প্রতীকী ছবি।

রেশন কার্ডের আবেদন করার পর বছর দুয়েক ধরে খাদ্য দফতরের অফিসে ছোটাছুটিই সার। রেশন কার্ড হাতে পাওয়া তো দূরের কথা, সে সম্পর্কে তথ্যও জোগাতে পারেননি ওই দফতরের আধিকারিকেরা। তা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলে সম্প্রতি তাঁর বাড়িতে দু’বছরের রেশন সামগ্রী পাঠিয়েছে খাদ্য দফতর। হরিদ্বারের এক বাসিন্দার বাড়িতে পৌঁছেছে ১৭ কুইন্টাল চাল-গম।

Advertisement

বুধবার টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারের লকসর এলাকার বাসিন্দা রাজেশ কুমারের রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন ২০১৮ সালে। তাঁর দাবি, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে রেশন কার্ড নম্বরও পেয়েছিলেন। তবে সেই কার্ডের নথিপত্র হাতে পাননি। ফলে মাসের পর মাস কেটে গেলেও সে রেশন পাচ্ছিলেন না। বেসরকারি সংস্থায় নিরাপত্তারক্ষী রাজেশ বলেন, ‘‘রেশন কার্ড তৈরির প্রক্রিয়া চলছে বলে প্রতি বারই জানিয়েছেন সাপ্লাই অফিসার। শীঘ্রই তা পাব বলে আশ্বাসও দিয়েছেন। তবে কার্ড পাইনি। এর পর তথ্য জানার অধিকার আইনে (আইটিআই) মামলার পরামর্শ দেন এক জন।’’

খাদ্য দফতরের বিরুদ্ধে আদালতের যাওয়ার পর বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন স্টেট ইনফরমেশন কমিশনার যোগেশ ভট্ট। তাঁর নির্দেশেই সম্প্রতি রাজেশের বাড়িতে পৌঁছেছে দু’বছরের রেশন।

Advertisement

১৭ কুইন্টাল চাল-গম পেয়ে স্বাভাবিক ভাবেই খুশি রাজেশ। স্ত্রী এবং ৩ সন্তান মিলিয়ে ৫ জনের সংসারে যে আগামী কয়েক মরসুম অন্নের চিন্তা মিটেছে, তা-ও জানিয়েছেন তিনি। রাজেশের কথায়, ‘‘অতিমারির সময় আমার দু’বোন আর বন্ধুবান্ধবেরা খুব সাহায্য করেছেন। এ বার আমার পালা! তাঁদের ঋণশোধ করব।’’

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এই ঘটনায় খাদ্য দফতরের এক সাপ্লাই ইনস্পেক্টরের গাফিলতি ছিল বলে স্বীকার করেছেন যোগেশ। দোষী আধিকারিককে ২৫ হাজার টাকার জরিমানা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন