National News

পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত উপনির্বাচন নয় দিল্লিতে, নির্দেশ হাইকোর্টের

২০ বিধায়কের পদ খারিজের সিদ্ধান্তকে দিল্লি হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে আপ। আজ সেই মামলার শুনানি হয়েছে। আপের আবেদনের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কী বলার আছে, জানতে চেয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কমিশন ও কেন্দ্রকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০১৮ ২২:৪৭
Share:

বরখাস্ত হওয়া আপ বিধায়করা দিল্লি হাইকোর্ট চত্বরে। ছবি: পিটিআই।

বিধায়ক পদ খারিজ সংক্রান্ত যে মামলা আদালত হাতে নিয়েছে, সেই মামলার পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত দিল্লিতে উপনির্বাচন নয়। বুধবার এ কথা সাফ জানিয়ে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। তবে আম আদমি পার্টির (আপ) ২০ জন বিধায়কের পদ খারিজ করার সিদ্ধান্তে আদালত স্থগিতাদেশ দিতে রাজি হয়নি।

Advertisement

২০ বিধায়কের পদ খারিজের সিদ্ধান্তকে দিল্লি হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে আপ। আজ সেই মামলার শুনানি হয়েছে। আপের আবেদনের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কী বলার আছে, জানতে চেয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কমিশন ও কেন্দ্রকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

লাভজনক পদ সংক্রান্ত অভিযোগে পদ খোয়াতে হয়েছে দিল্লির শাসক দলের ২০ বিধায়ককে। বিধায়ক থাকার পাশাপাশি পরিষদীয় সচিব হিসেবে লাভজনক পদ ভোগ করা সংক্রান্ত অভিযোগ উঠেছিল তাঁদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ খতিয়ে দেখার পর নির্বাচন কমিশন গত শুক্রবার ওই বিধায়কদের বরখাস্ত করার সুপারিশ পাঠায় রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে। রাষ্ট্রপতি রবিবার কমিশনের সুপারিশে অনুমোদন দিয়ে দেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: ফের মাওবাদী হামলা ছত্তীসগঢ়ে, ৪ পুলিশকর্মী হত, ৭ জখম

আপের তরফে এই সিদ্ধান্তকেই চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে। অভিযোগ উঠেছিল যাঁদের বিরুদ্ধে, তাঁদের বক্তব্য ঠিক মতো শোনা হয়নি, তাড়াহুড়ো করে বিধায়ক পদ খারিজের সুপারিশ রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছে— এমনই বলা হয়ে হাইকোর্টে দায়ের করা মামলায়।

ঠিক কী প্রক্রিয়ায় বরখাস্ত করা হল বিধায়কদের, নির্দিষ্ট আইন-কানুন মেনেই সবটা হয়েছে, নাকি আইন লঙ্ঘন হয়েছে, তা খতিয়ে দেখবে দিল্লি হাইকোর্ট। সেই সংক্রান্ত সব নথিই তাই চেয়ে পাঠিয়েছে আদালত।

আরও পড়ুন: পশুখাদ্য মামলায় ফের ৫ বছরের জেল লালুর

আপের আর্জি ছিল, বিধায়কদের বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত রদ করা হোক। কিন্তু দিল্লি হাইকোর্ট তা করেনি। ২৯ জানুয়ারি ফের এই মামলার শুনানি হবে বলে আদালত জানিয়েছে।

বিধায়করা বরখাস্ত হওয়ায়, দিল্লি বিধানসভার সংশ্লিষ্ট আসনগুলিও খালি হয়ে গিয়েছে। তাই ওই আসনগুলিতে উপনির্বাচন দরকার। কিন্তু মামলার পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে নির্বাচন কমিশনকে বারণ করেছে দিল্লি হাইকোর্ট।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন