রাজনৈতিক অস্থিরতা অব্যাহত, ইস্তফার হুমকি দিলেন কুমারস্বামী

কর্নাটকে রাজনৈতিক অস্থিরতা অব্যাহত। ‘অপারেশন পদ্ম’ ব্যর্থ হওয়ার পরে বিজেপি শিবির ঝিমিয়ে গেলেও হঠাৎই জোটের অন্দরে অশান্তি বাঁধালেন কিছু কংগ্রেস বিধায়ক। যার জেরে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী পদত্যাগের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:৪৫
Share:

কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। -ফাইল ছবি।

কর্নাটকে রাজনৈতিক অস্থিরতা অব্যাহত। ‘অপারেশন পদ্ম’ ব্যর্থ হওয়ার পরে বিজেপি শিবির ঝিমিয়ে গেলেও হঠাৎই জোটের অন্দরে অশান্তি বাঁধালেন কিছু কংগ্রেস বিধায়ক। যার জেরে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী পদত্যাগের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস বিধায়কেরা ‘সীমা অতিক্রম’ করছেন। অবস্থা বেগতিক দেখে আসরে নেমেছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব।

Advertisement

কুমারস্বামী আজ বলেন, ‘‘নিজের বিধায়কদের নিয়ন্ত্রণ করুক কংগ্রেস। তাঁরা যদি বার বার সীমা লঙ্ঘন করেন, তা হলে আমি পদত্যাগ করতে তৈরি। কংগ্রেস নেতৃত্ব সব কিছু দেখছেন। কংগ্রেসের মনে রাখা উচিত, এর ফলে শুধু আমার নয়, তাদেরও ক্ষতি হবে।’’

শাসক জোটের অন্দরে সাম্প্রতিক অশান্তির সূত্রপাত দুই কংগ্রেস বিধায়কের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে। কংগ্রেস বিধায়ক এস টি সোমশেখর বলেছিলেন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া যদি মুখ্যমন্ত্রী থাকতেন, তা হলে রাজ্যে ‘প্রকৃত উন্নয়ন’ হত। রাজ্যের আর এক মন্ত্রী সি পুট্টারঙ্গশেট্টি কদম এগিয়ে বলেছেন, ‘‘সিদ্দারামাইয়ার কাছে আমি চিরঋণী। চিরকাল ওঁকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মানব।’’ এ নিয়েই ক্ষুব্ধ কুমারস্বামী। তাঁর হুঁশিয়ারিতে নড়েচড়ে বসেছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। কংগ্রেস-জেডিএস জোটের কো-অর্ডিনেশন কমিটির প্রধান সিদ্দারামাইয়া অবশ্য বিতর্কের দায় চাপিয়েছেন সংবাদমাধ্যমের উপর। তিনি বলেন, ‘‘আপনারাই (সাংবাদিক) গোলমাল তৈরি করেছেন। জোটে কোনও সমস্যা নেই। এ সব বলে ওরা (কংগ্রেস বিধায়কেরা) আমাকেই অপমান করেছে। আমি কুমারস্বামীর সঙ্গে কথা বলব।’’

Advertisement

দলের দুই বিধায়কের মন্তব্যকে অনুমোদন করছে না প্রদেশ কংগ্রেস। দলের রাজ্য সভাপতি দীনেশ গুন্ডু রাও বলেন, ‘‘কুমারস্বামীই আমাদের মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত। সোমশেখর যা বলেছেন, তা গ্রহণযোগ্য নয়। তাঁকে বক্তব্যের কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে না হলে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।’’ যদিও দুই বিধায়কের পাশেই দাঁড়িয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বর। তাঁর কথায়, ‘‘কুমারস্বামীর সঙ্গে আমাদের কোনও বিরোধ নেই। কিন্তু সিদ্দারামাইয়াই সেরা মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আমাদের পরিষদীয় দলনেতা। তাঁর প্রতি দলের সকলেই শ্রদ্ধাশীল। বিধায়কেরা তাঁদের আবেগের কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশে আপত্তি কোথায়!’’

এই পরিস্থিতির মধ্যেই বিতর্কে জড়িয়েছেন সিদ্দারামাইয়া। একটি সভায় আমজনতার ক্ষোভের কথা শুনছিলেন তিনি। এক মহিলা স্থানীয় বিধায়ক তথা সিদ্দারামাইয়ার ছেলের বিরুদ্ধে মুখ খুললে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ওই মহিলার হাত থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নিতে গিয়ে সিদ্দারামাইয়ার হাতে চলে যায় তাঁর দোপাট্টা! এমন সুযোগ ছাড়েননি বিরোধীরা। বিজেপি বলছে, রাজ্যে কৌরবদের রাজত্ব চলছে। সিদ্দারামাইয়া এ যুগের দুঃশাসন!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন