নতুন জাতীয় স্বাস্থ্যনীতিতে দেশবাসীর গড় আয়ু ৬৭.৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ৭০ বছর করার লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিল কেন্দ্র। ২০২৫-এর মধ্যে এই লক্ষ্য ছুঁতে চাইছে সরকার। পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য বিলের মতোই কাল কেন্দ্রের বিলটিতে রোগী-স্বার্থকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ওই বিলে হাসপাতালগুলির স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছে রোগীর পরিবারকে। যেখানে হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত হবে। যা দেখে তৃণমূল সাংসদেরা বুক ঠুকে বলছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য বিল দেখেই বোধোদয় হয়েছে মোদী সরকারের।
রোগীদের স্বার্থে পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের চারটি রাজ্য এখন পর্যন্ত ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট বিল পাশ করেছে। মমতার স্বাস্থ্য বিলের প্রশংসাও করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তবে পশ্চিমবঙ্গের দেখাদেখিই কেন্দ্র বিল এনেছে বলে মানতে চাননি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডা। নাড্ডার কথায়, ‘‘স্বাস্থ্য বিলে মমতাকে নকল করা হচ্ছে— এ কথা বলা অতিসরলীকরণ হয়ে যাবে। সাংবিধানিক ভাবে স্বাস্থ্য যৌথ তালিকাভুক্ত। তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক স্তরে বিবাদ থাকতে পারে, কিন্তু নীতি প্রণয়নের প্রশ্নে কেন্দ্র–রাজ্য একসঙ্গেই কাজ করবে। কোনও রাজ্যে যদি কোনও ওষুধের ঘাটতি হয়, এগিয়ে আসবে কেন্দ্রই।’’
আরও পড়ুন: শাস্ত্রীর টুইটের ক্রিকেটীয় জবাব মোদী-অমিত শাহের