জম্মু-কাশ্মীরে পুনর্বাসন নিয়ে শুনানি পিছোল

রাজ্যে এখন রাজ্যপালের শাসন। তাই নির্বাচিত সরকার না-আসা পর্যন্ত ‘জম্মু-কাশ্মীর পুনর্বাসন আইন, ১৯৮২’-কে চ্যালেঞ্জ করে মামলার শুনানি মুলতুবি রাখার আর্জি জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৯ ০৫:২৭
Share:

—ফাইল চিত্র।

রাজ্যে এখন রাজ্যপালের শাসন। তাই নির্বাচিত সরকার না-আসা পর্যন্ত ‘জম্মু-কাশ্মীর পুনর্বাসন আইন, ১৯৮২’-কে চ্যালেঞ্জ করে মামলার শুনানি মুলতুবি রাখার আর্জি জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। আজ সুপ্রিম কোর্ট জানাল, এটা কোনও কারণ হতে পারে না। রাজ্যে একটা সরকার তো আছে! তবে আপাতত শুনানি পিছিয়েছে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। বিচারপতিরা জানান, প্রধান বিচারপতি পরবর্তী শুনানির দিন স্থির করবেন।

Advertisement

দেশভাগের পরে ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৪ সালের মধ্যে জম্মু-কাশ্মীর থেকে বেশ কিছু বাসিন্দা পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন। ১৯৮২ সালে জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় পাশ হওয়া ‘পুনর্বাসন আইন’ অনুযায়ী, ওই বাসিন্দাদের কেউ ফিরতে চাইলে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কিন্তু এর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় ২০০১-এ স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।

আজ আদালতে জম্মু-কাশ্মীরের স্থায়ী আইনজীবী শোয়েব আলম এবং অ্যাডভোকেট জেনারেল ডি সি রাইনা জানান, রাজ্যে নির্বাচিত সরকার নেই। তাই এই শুনানি মুলতুবি রাখার আর্জি জানানো হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর ন্যাশনাল প্যান্থার্স পার্টির নেতা তথা আইনজীবী ভীম সিংহ পাল্টা বক্তব্যে জানিয়েছিলেন, ১৭ বছর ধরে মামলা ঝুলে রয়েছে, এ বার মীমাংসা করতেই হবে। বিলম্বে রাজি নয় শীর্ষ আদালতও। তবে দেশভাগের ৭০ বছর পরেও জম্মু-কাশ্মীরে ফিরতে চাওয়ার কোনও আবেদনপত্র জমা পড়েনি বলেও আজ জানিয়েছে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement