লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলীমনোহর জোশী, উমা ভারতীর মতো বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র-মামলা সোমবার ফের শুরু হচ্ছে।
১৯৯২ সাল থেকে পঁচিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই মামলা ঝুলে থাকার পরে, গত ১৯ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট লখনউয়ে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতকে এক মাসের মধ্যে মামলার নিয়মিত শুনানি শুরু করতে বলেছিল। দু’বছরের মধ্যে দ্রুত শুনানি শেষ করে ওই মামলায় রায় দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। ওই সময়েই আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশও দেয় শীর্ষ আদালত। এক, রায়বরেলী আদালতের থেকে মামলা লখনউয়ে স্থানান্তরিত করা। দুই, বাবরি মসজিদ ধ্বংসে অভিযুক্তদের উপর ষড়যন্ত্রদের আরোপ লাগিয়ে মামলা চালানো। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, লখনউয়ের বিশেষ আদালতের নিয়মিত শুনানি কিছুতেই বন্ধ করা যাবে না। ওই আদালত যদি মনে করে কোনও ভাবে মামলা চালানোর পরিস্থিতি নেই, সেই দিনটির ক্ষেত্রেই এর ব্যতিক্রম ঘটতে পারে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে গত কাল লখনউয়ে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে অযোধ্যা মামলা শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই অভিযুক্ত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ৫ জন নেতাকে জামিন দিয়েছে সিবিআই কোর্ট। আদালতে আগামী কাল ফের এই মামলা শুরু হবে। তবে যাঁর মুখ্যমন্ত্রিত্বের সময়ে বারবি মসজিদ ধ্বংস হয়েছিল, বিজেপির সেই নেতা কল্যাণ সিংহের বিরুদ্ধে এই মুহূর্তে লখনউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালতে ষড়যন্ত্রের মামলা চলবে না। তিনি এখন রাজস্থানের রাজ্যপাল। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণেই আপাতত ছাড় পাচ্ছেন কল্যাণ। তবে সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, রাজ্যপাল পদ থেকে সরে গেলেই কল্যাণ সিংহের বিরুদ্ধে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মামলা শুরু হবে।