মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, আগামী কয়েক দিন দিনের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। — ফাইল ছবি।
এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহেই বিহার, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। এ বার দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস দিল মৌসম ভবন। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে চলতে পারে বেশ কিছু দিন। তার পর কিছু অংশে হতে পারে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। তবে তাতে কতটা স্বস্তি মিলবে, সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
দিল্লি-সহ পশ্চিম হিমালয় অঞ্চলের বেশ কিছু জায়গায় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি। পশ্চিমবঙ্গের কিছু এলাকায় এর মধ্যেই দিনের তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, আগামী কয়েক দিন দিনের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। শুষ্ক আবহাওয়ার কারণেই এমনটা হতে পারে।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী পাঁচ দিন উত্তর ভারত, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, সিকিম, অন্ধ্র, কেরল, মধ্যপ্রদেশে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে তিনি থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকতে পারে। বাকি দেশে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে এক থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকতে পারে। পূর্বাভাস বলছে, ১৩ থেকে ১৭ এপ্রিল তাপপ্রবাহ চলতে পারে পশ্চিমবঙ্গে। অন্ধ্র এবং ওড়িশায় ১৩ থেকে ১৫ এপ্রিল, বিহারে ১৫ থেকে ১৭ এপ্রিল তাপপ্রবাহ চলতে পারে। আগামী কয়েক দিন দিল্লিতে দিনের তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করতে পারে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।
১৭ এপ্রিল পর্যন্ত দিল্লি-সহ উত্তর-পশ্চিম ভারতে আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে বলে মনে করছে মৌসম ভবন। তার পরে কিছু জায়গায় হতে পারে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। দু’টি পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণে হিমালয় সংলগ্ন অঞ্চলে এই বৃষ্টি হতে পারে। ১৫ এপ্রিল নাগাদ একটি পশ্চিমি ঝঞ্ঝা প্রবেশ করতে পারে। অন্যটি ১৮ থেকে ১৯ এপ্রিল সক্রিয় হতে পারে। এই দু’টি পশ্চিমি ঝঞ্ঝার জেরে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। এই পশ্চিমি ঝঞ্ঝা ভূমধ্যসাগরের উপর তৈরি হয়। তার পর ধীরে ধীরে পূর্ব দিকে এগোতে থাকে। তার পর ধাক্কা দেয় হিমালয়ে। এর প্রভাবে বৃষ্টিপাত, সময়ে সময়ে তুষারপাত হয়ে থাকে।
মৌসম ভবনের বিজ্ঞানী সুরেন্দ্র পাল মনে করেন, প্রথম পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণে জম্মু ও কাশ্মীর এবং হিমাচলে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। দ্বিতীয় পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণে ১৮ থেকে ১৯ এপ্রিল উত্তর পশ্চিম ভারতের বেশ কিছু এলাকায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে।
চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাস ছিল উষ্ণতম। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে এত গরম পড়েনি দেশে। তখনই মৌসম ভবনের পূর্বাভাস ছিল, এপ্রিল থেকে জুন দেশের বিভিন্ন অংশে তাপপ্রবাহ চলতে পারে। সেই সংখ্যাটা ক্রমেই বৃদ্ধি পেতে পারে। গত বুধবার মধ্যপ্রদেশের রাজগড় এবং ওড়িশার ঝাড়সুগুড়ায় দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহেই গ্রীষ্মের এই রূপ হলে, পরবর্তী সময়ে কী হবে? আশঙ্কায় দেশ।