শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হল আন্দামান সাগরের অতিগভীর নিম্নচাপ। পাকিস্তান তার নাম দিয়েছে ‘ভারদা’।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড় আন্দামান সাগর থেকে সরে এসে ধীরে ধীরে চলে যাবে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের দিকে। আগামী সোমবার নাগাদ অন্ধ্রপ্রদেশের নেলোর ও কাকিনাড়ার মাঝখান দিয়ে স্থলভূমিতে ঢুকতে পারে।
যে হেতু ওই ঘূর্ণিঝড়টির উৎপত্তিস্থল আন্দামান সাগর, তাই গত তিন দিন ধরে আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ হয়ে আছে ওই দ্বীপপুঞ্জে। আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, গত তিন দিন নিম্নচাপটি আন্দামান সাগরে প্রায় স্থিতিশীল হয়ে থেকে শক্তি বাড়িয়েছে। তাই ক্রমে ক্রমে ঝড়বৃষ্টি হয়েছে আন্দামানে। ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার পরে তা গতিপ্রাপ্ত হয়েছে। এ বার ধীরে ধীরে আবহাওয়া খারাপ হবে তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে।
কলকাতা হাওয়া অফিসের উপ অধিকর্তা (পূর্বাঞ্চল) সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আগামী দু’দিন আন্দামান নিকোবরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। সাগরে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। মৎস্যজীবীদের আন্দামান সাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।’’
পশ্চিমবঙ্গের উপরে এই ঘূর্ণিঝড়ের কোনও সরাসরি প্রভাব না পড়লেও তা শীতের পথে বাধা সৃষ্টি করবে। ঘূর্ণিঝড় যত অন্ধ্রপ্রদেশের দিকে এগোবে, উপকূলীয় পশ্চিমবঙ্গে জলীয় বাষ্প ঢুকবে। যা উত্তুরে হাওয়ার পথে দেওয়াল তুলে দেবে। তবে ঘূর্ণিঝড় অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে ছেড়ে যদি কোনও ভাবে ওড়িশা উপকূলে চলে আসে, তা হলে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠবে। বাতাসে আরও জলীয় বাষ্প ঢুকবে। শীতের সম্ভবনাও কমবে।
আবহবিদেরা জানিয়েছেন, আগামী ক’দিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭-১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে। ‘‘এই ঘূর্ণিঝড় কেটে গেলে তবেই শীত নিয়ে নির্দিষ্ট পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব,’’ বলছেন সঞ্জয়বাবু।