দুর্ঘটনার পর।
প্রথমে নীরবতা। তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়। পরিস্থিতি সামলাতে সাহায্যের আশ্বাস। তাতে আরও তীব্র হল সে ঝড়। দুর্ঘটনার পরে হেমা মালিনীর পর পর দুই পদক্ষেপ নিয়ে শনিবার এ ভাবেই উত্তাল হল সোশ্যাল মিডিয়া।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজস্থানের দৌসায় হেমা মালিনীর গাড়ি ধাক্কা মারে একটি অল্টোকে। হেমা মালিনীর চোখে চোট লাগলেও মারা যায় গাড়িটিতে সাওয়ার ছোট্ট মেয়ে গুড়িয়া। দুর্ঘটনার পরে জয়পুরের হাসপাতালে হেমা মালিনীকে ভর্তি করা হয়। গ্রেফতার করা হয় তাঁর গাড়ির চালকে।
এর মধ্যেই মৃত গুড়িয়ার পরিবার অভিযোগ করে, দুর্ঘটনার পরে হেমাকে যে ভাবে তৎপরতার সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় গুড়িয়ার ক্ষেত্রে সে তৎপরতা দেখালে ছোট্ট মেয়েটিকে এ ভাবে হয় তো চলে যেতে হত না। সোশ্যাল মিডিয়ায় হেমার সমালোচনা শুরু হয়। কিন্তু ছোট্ট গুড়িয়াকে নিয়ে ‘আশ্চর্য’ নীরব থাকেন হেমা ও তাঁর পরিবার।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি এষা। ছবি: এএফপি।
এ দিনই মুক্তি পান হেমা। সকালে জয়পুরের হাসপাতাল থেকে বিশেষ চার্টার্ড বিমানে মুম্বই পৌঁছন ৬৬ বছরের অভিনেত্রী সাংসদ। তার পরে নীরবতা ভাঙে তাঁর পরিবার। সাফাই গেয়ে মেয়ে এষা বলেন, “দুর্ঘটনার আকস্মিকতায় মা এতটাই হতচকিত হয়ে গিয়েছিলেন, যে তাঁর পক্ষে আর কিছু ভাবা সম্ভব হয়নি। মা ওই পরিবারকে সব রকম সাহায্য করতে প্রস্তুত।” এর পরে আগুনে ঘৃতাহুতি পড়ে। সমালোচনার ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সলমন খানের রায় নিয়ে গায়ক অভিজিতের মন্তব্যের পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় আম-আদমির প্রবল বিরোধের মুখে পড়লেন আর এক বলিউডি তারা।