ধৃত নাবালককে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। —ফাইল চিত্র
মগজধোলাই করে বা টাকা দিয়ে যে উপত্যকায় কম বয়সি যুবকদের কাজে লাগায় জঙ্গিরা, ফের তার প্রমাণ মিলল। জম্মু বাসস্ট্যান্ডে গ্রেনেড হামলায় ধৃত নাবালককে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিল হিজবুল জঙ্গিরা। তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের দাবি, জেরায় এ কথা স্বীকার করেছে বছর ষোলোর নাবালক ওই যুবক। পাশপাশি বৃহস্পতিবারের জঙ্গি হানায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে দুই।
বৃহস্পতিবার জম্মু বাসস্ট্যান্ডে একটি বাসের মধ্যে গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটে। ওই দিনই হাসপাতালে এক জনের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও ৩২ জন। এর পর আজ, শুক্রবার সকালে হাসপাতালেই আরও এক জনের মৃত্যু হয়। তবে বাকি আহতরা প্রায় সবাই বিপন্মুক্ত বলে জম্মুর ওই হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবারই সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুই যুবককে গ্রেফতার করে জম্মু পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এই হামলার পিছনে রয়েছে হিজবুল মুজাহিদিন। মূল চক্রী হিজবুলের কুলগাম জেলার স্বঘোষিত প্রধান ফইয়াজ। তাকেও বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে জেরায় উঠে এসেছে, ফইয়াজ প্রথমে মুজাম্মিল নামে এক শ্রমিককে গ্রেনেড ছোড়ার দায়িত্ব দেয়। কিন্তু মুজাম্মিল গ্রেনেড নিজের কাছে নিয়েও পরে হামলা চালাতে অস্বীকার করে। তখন তাকে বলা হয় ওই নাবালককে দিতে। সেই নাবালকই গ্রেনেড ছুড়েছিল এবং পুলিশের হাতে ধরা পড়ে।
আরও পড়ুন: বোমা ফেলা বালাকোটের সেই জঙ্গি ঘাঁটিতে সাংবাদিকদের ‘প্রবেশ নিষিদ্ধ’ করল পাকিস্তান
আরও পডু়ন: মহাসাগরেও দুর্ভেদ্য ভারত, আসছে পরমাণু অস্ত্রবাহী অত্যাধুনিক রুশ ডুবোজাহাজ
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ওই নাবালক জেরায় জানিয়েছে, গ্রেনেড ছোড়ার জন্য হিজবুল জঙ্গিরা তাকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিল। পুলিশকর্তারা আরও জানিয়েছেন, বর্তমানে ওই নাবালকের বয়স ১৬ বছরও হয়নি। তার আধার কার্ড এবং স্কুলের নথিপত্রে জন্ম তারিখ ১২ মার্চ, ২০০৩। অর্থাৎ এই মাসের ১২ তারিখেই তার বয়স ১৬ বছর পূর্ণ হবে। কিন্তু জন্ম তারিখ সঠিক কি না, সেটা জানতে ওই কিশোরের বয়সের পরীক্ষা করবেন তদন্তকারীরা। তার পর শুরু হবে আইনি প্রক্রিয়া।
(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)