Himant Biswa Sharma

ধর্মান্তরণ নিয়ে হিমন্তের নিশানায় অসমের পুলিশ

হিমন্ত জানান, সরকার সর্বধর্ম সমন্বয়ের আদর্শ ও সকলের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাসী। জোর ধরে ধর্মান্তরণ ও স্বেচ্ছায় ধর্ম বদলের মধ্যে ফারাক রয়েছে। অসমে ধর্মান্তরণ ঠেকানোর মতো কোনও আইনও নেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:৩৭
Share:

অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। ফাইল চিত্র।

অসমে খ্রিস্টানদের ধর্মান্তরণ নিয়ে তথ্য ও খ্রিস্ট ধর্মের প্রসার রোখার দাওয়াই বাতলাতে জেলার এসপিদের গোপন চিঠি পাঠানো হয়েছিল বিশেষ শাখা থেকে। সেই চিঠি ফাঁস হওয়ায় এবং আসন্ন ভোটের মুখে খ্রিস্টানপ্রধান রাজ্য নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া হওয়ায় শেষ পর্যন্ত পুলিশকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দায় এড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। শনিবার তিনি সাংবাদিকদের জানান, এই চিঠির বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না। শুক্রবারই তিনিও প্রথম চিঠিটি দেখেন। তিনি বলেন, “কোনও নির্দিষ্ট ধর্মের বিষয়ে এই ভাবে তথ্য জানতে চাওয়া একেবারেই উচিত নয়। এই ধরনের সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে এমন চিঠি একেবারেই অনভিপ্রেত। ওই সম্প্রদায়ের মানুষের ভাবাবেগে আঘাত লাগা স্বাভাবিক। আমি ডিজিপিকে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।”

Advertisement

তিনি জানান, সরকার সর্বধর্ম সমন্বয়ের আদর্শ ও সকলের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাসী। জোর ধরে ধর্মান্তরণ ও স্বেচ্ছায় ধর্ম বদলের মধ্যে ফারাক রয়েছে। অসমে ধর্মান্তরণ ঠেকানোর মতো কোনও আইনও নেই। সাধারণত এই ধরনের চিঠি স্বরাষ্ট্র দফতর বা ডিজিপির দফতর থেকে পাঠানো হয়। এসপি-র দফতর থেকে এমন গুরুত্বপূর্ণ চিঠি জারি করাও অস্বাভাবিক।

যদিও হিমন্ত দাবি করছেন তিনি বা তাঁর দফতর এই চিঠির বিষয়ে কিছুই জানত না। কিন্তু ১৬ ডিসেম্বর পাঠানো ওই চিঠিতে স্পষ্টই লেখা আছে সেটি বিশেষ ডিজিপি জি পি সিংহ ও স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রধান সচিব নীরজ বর্মাকেও পাঠানো হয়েছিল।

Advertisement

বিষয়টি নিয়ে অসম খ্রিস্টান ফোরাম তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল। মেঘালয়, নাগাল্যান্ডের খ্রিস্টান সমাজও বেজায় ক্ষিপ্ত। খ্রিস্টান ফোরাম সূত্রে খবর, ওই দুই রাজ্য থেকে বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরেও অভিযোগ জানানো হয়েছে।

অসম তৃণমূলের সভাপতি রিপুন বরা বলেন, “অমিত শাহের প্রিয়পাত্র হতে, নাগপুরের নেতাদের তুষ্ট করতে ও যোগী আদিত্যনাথকে টেক্কা দিতে হিমন্ত অসমে খ্রিস্টানদের পিছনে পুলিশ লাগিয়েছেন। সংবিধানের ২৬, ২৭, ২৯ নম্বর অনুচ্ছেদ ভঙ্গ করার জন্য হিমন্ত সরকারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করা উচিত।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন