Indian Origin Man's Death

‘ছটফট করছিল বুকের ব্যথায়, রক্তচাপ বেড়ে ২১০ হয়েছিল!’ কানাডায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুবকের মৃত্যুতে কী বললেন স্ত্রী

গত ২২ ডিসেম্বর বুকে ব্যথার উপসর্গ নিয়ে কানাডার এডমন্টনে যান প্রশান্ত। তাঁর স্ত্রীর দাবি, ওই দিন দুপুর ১২টা নাগাদ বুকে ব্যথা অনুভব করায় নান্‌স কমিউনিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল প্রশান্তকে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৪:২৪
Share:

(বাঁ দিকে) ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুবক প্রশান্ত শ্রীকুমার। (ডান দিকে) হাসপাতালে তাঁর দেহের পাশে স্ত্রী নীহারিকা। ছবি: সংগৃহীত।

কানাডায় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য অপেক্ষা করতে করতে শেষে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুবক প্রশান্ত শ্রীকুমারের (৪৪)। স্বামীর মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললেন স্ত্রী নীহারিকা শ্রীকুমার। কানাডার হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন তিনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের জন্যই তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ নীহারিকার।

Advertisement

চিকিৎসার জন্য কত ক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছিল, সেই সময় কী ঘটেছিল, সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে তা জানিয়েছেন নীহারিকা (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)। স্বামীর দেহের সামনে দাঁড়িয়ে হাসপাতাল কর্তপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। গত ২২ ডিসেম্বর বুকে ব্যথার উপসর্গ নিয়ে কানাডার এডমন্টনে যান প্রশান্ত। তাঁর স্ত্রীর দাবি, ওই দিন দুপুর ১২টা নাগাদ বুকে ব্যথা অনুভব করায় নান্‌স কমিউনিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল প্রশান্তকে। ১২টা ২০ মিনিটে হাসপাতালে পৌঁছোন তাঁরা।

নীহারকার অভিযোগ, ‘‘দুপুর ১২টা ২০ থেকে রাত ৮টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত প্রশান্তকে অপেক্ষা করানো হয়েছিল। বুকে ব্যথা ক্রমাগত বাড়ছিল। ছটফট করছিল। রক্তচাপ ক্রমাগত বাড়ছিল। একটা সময়ে ২১০-এ পৌঁছোয়। বুকে ব্যথার জন্য শুধুমাত্র একটি ওষুধ প্রেসক্রাইব করে বসিয়ে রেখেছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আট ঘণ্টা ধরে ব্যথায় ছটছট করেছে আমার স্বামী।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘হাসপাতাল থেকে বলা হয়েছিল, এটি বড় কোনও সমস্যা নয়। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টও নয়।’’ আট ঘণ্টা অপেক্ষার পর প্রশান্তকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। নীহারিকা বলেন, ‘‘ইমার্জেন্সি রুমে প্রশান্তকে নিয়ে যাওয়ার পর ওকে সেখানেও বসিয়ে রাখা হয়। তার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই জ্ঞান হারায় আমার স্বামী। একজন নার্স এসে পরীক্ষা করে জানান, প্রশান্ত বেঁচে নেই।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement