শিলাবৃষ্টিতে নাগাল্যান্ডের জুনহেবটো জেলায় অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অন্য দিকে, টানা বৃষ্টিতে অসমের শোণিতপুর, দরং, লখিমপুর জেলায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে চলেছে। পুলিশ ও প্রশাসনিক সূত্রে খবর, নাগাল্যান্ডে সুরুহতো সাব ডিভিশনে সুরুহতো-আসুটো শহর ও তার আশপাশে দু’দিনের শিলাবৃষ্টিতে অনেক বাড়ি ও গাড়ি ভেঙেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, শিলাখণ্ডগুলির ওজন ছিল ১০০ গ্রাম থেকে আধ কিলোগ্রাম। বাড়ি ভেঙে প্রায় শ’পাঁচেক পরিবার গৃহহীন হয়েছে। সব চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে আচি সাঘেমি গ্রামে। সেখানে ১৭১টি বাড়ি ভেঙেছে। শিলাবৃষ্টিতে যব, ভুট্টা ও আলু চাষের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির হিসেব চলছে।
অসমে বাজ পড়ে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। গোগামুখে বাজ পড়ে মারা যায় ৬ টি গরু। ঢকুয়াখানায় বাজ পড়ে তিন জন জখম হন। দরং জেলায় ঝড়ে অনেক বাড়ি, স্কুল, মসজিদের ক্ষতি হয়েছে। সব চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত থলথলি, দলগাঁও, শিয়ালমারি। শিবসাগরে দু’টি নদীর জল বিপদসীমার উপরে বইছে। টিওক নদীর বন্যায় জাজি জলমগ্ন। যোরহাটেও এ দিন শিলাবৃষ্টি হয়। গোহপুরে সেলেঙ নদীর জলে ভেসেছে স্কুল, সরকারি অফিস। লখিমপুরে রঙানদীর জল বেড়ে বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গুয়াহাটির জ্যোতিনগরে ধস নামার পরে প্রশাসন সতর্কতা হিসেবে পাঁচটি বাড়ি খালি করে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ সংশ্লিষ্ট সব বিভাগকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য সতর্ক থাকতে বলেছেন। স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন বিপর্যয় বিশেষ করে ভূমিকম্পের ব্যাপারে সতর্ক করতে প্রশিক্ষণ দিতে বলেছেন তিনি।