সংস্থাকে দেউলিয়া ঘোষণা করার জন্য আবেদন জানিয়েছে এয়ারসেল। যদিও সংস্থা কর্তৃপক্ষের আশ্বাস, মোবাইল পরিষেবা চালু রাখার যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন তাঁরা। তবে ইতিমধ্যেই গুজরাত, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে পরিষেবা বন্ধ করেছে এয়ারসেল। এই পরিস্থিতিতে আপনি কি এয়ারসেল থেকে অন্য সংস্থার মোবাইল পরিষেবা নিতে চাইছেন? তবে জেনে নিন তা কী ভাবে করবেন।
সবচেয়ে আগে জেনে নিন, মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) বিষয়টি আসলে কী? সহজ কথায়, আপনার মোবাইল নম্বর একই রেখে অন্য সংস্থার মোবাইল পরিষেবা নেওয়াকেই এমএনপি বলে। এয়ারসেলের গ্রাহকেরা যাতে সহজেই এমএনপি-র সুবিধে পেতে পারেন সে জন্য একটি ইউনিক পিন কোড (ইউপিসি) জেনারেট করার জন্য এয়ারসেলকে নির্দেশ দিয়েছে টেলিকম নিয়ন্ত্রক ট্রাই। চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ওই ইউপিসি বৈধ থাকতে হবে বলেও নির্দেশ ট্রাইয়ের।
এ বার জেনে নিন, এয়ারসেল থেকে পোর্ট-আউট বা অন্য সংস্থার মোবাইল পরিষেবা নেবেন কী ভাবে? প্রথমে, PORT লিখে, এর পর স্পেস দিয়ে আপনার ১০ ডিজিটের মোবাইল নম্বর লিখে ১৯০০ নম্বরে একটি টেক্সট মেসেজ করুন।
এর পর আপনি পোর্ট-আউট বা মোবাইল সংস্থা বদলাতে চান কি না তা জানতে চেয়ে একটি মেসেজ পাবেন। তা কনফার্ম করার জন্যও আপনাকে অনুরোধ করা হবে। ওই মেসেজের উত্তর দিলে কয়েক ঘণ্টা পর ইউপিসি জানিয়ে একটি মেসেজ আসবে।
যে সংস্থার মোবাইল পরিষেবা নিতে চান তার একটি নতুন সিম কার্ড কিনে নিন। ধরুন, আপনি এয়ারসেল থেকে এয়ারটেল বা জিও-র নেটওয়ার্কে যেতে আগ্রহী। তবে এয়ারটেল বা জিও-র বিপণিতে গিয়ে একটি নতুন সিম কার্ডের কিনে নিন। এ ক্ষেত্রে নতুন সিম কার্ড পেতে হলে আপনার সঙ্গে আধার কার্ড-সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র থাকতে হবে।
মনে রাখবেন, নতুন সিম কার্ড নেওয়ার সময় আপনাকে ওই ইউপিসি-টি মোবাইল সংস্থার বিপণিতে দেখাতে হবে। সমস্ত নথিপত্রের যাচাই হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে এয়ারসেলের মোবাইল নম্বর না বদলে থেকে আপনি চলে যেতে পারছেন এয়ারটেল বা জিও-র নেটওয়ার্কে।
কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুরনো এয়ারসেল সিম ডি-অ্যাক্টিভেট হলে গেলে আপনি নতুন সিম কার্ডটি ব্যবহার করতে পারবেন। মনে রাখবেন, এই গোটা পদ্ধতিটিই প্রিপেড গ্রাহকদের জন্য প্রযোজ্য।
পোস্টপেড গ্রাহকদের জন্য আবার অন্য নিয়ম। কাস্টমার কেয়ার-এ ফোন করে পোর্ট-আউটের জন্য আবেদন করতে হবে তাঁদের। সেখান থেকেই পোর্ট-আউটের সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্যাদি পেয়ে যাবেন তাঁরা।