রাঁচি পাহাড়ের মাথায় বসছে বিশাল তেরঙা

আকাশ ছুঁয়ে থাকবে ত্রিবর্ণ জাতীয় পতাকাটি। বহু দূর থেকেও স্পষ্ট ভাবে দেখা যাবে এই তেরঙা ঝান্ডা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৪:২২
Share:

রাঁচি পাহাড়ে নির্মীয়মাণ সেই বিশাল পতাকা-স্তম্ভ। — নিজস্ব চিত্র।

Advertisement

আকাশ ছুঁয়ে থাকবে ত্রিবর্ণ জাতীয় পতাকাটি। বহু দূর থেকেও স্পষ্ট ভাবে দেখা যাবে এই তেরঙা ঝান্ডা।

Advertisement

২১৪০ ফুট উচুঁ রাঁচি পাহাড়ের চূড়ায় তৈরি হচ্ছে ২৬৬ ফুট উঁচু পতাকা-স্তম্ভ। সেই স্তম্ভে উড়বে ৯৯ ফুট লম্বা ও ৬৬ ফুট চওড়া জাতীয় পতাকা। চলতি বছরের মার্চ মাসে হরিয়ানার ফরিদাবাদে এমনই এক জাতীয় পতাকা বসানো হয়। তার উচ্চতা অবশ্য ছিল ২৪৬ ফুট। ফরিদাবাদের সেই জাতীয় পতাকা স্তম্ভকেও উচ্চতায় হারাতে চলেছে রাঁচি। রাঁচির মহকুমা শাসক অমিত কুমার বলেন, ‘‘এই ডিসেম্বরেই কাজ শেষ হওয়ার কথা। প্রধানমন্ত্রী এই জাতীয় পতাকা উদ্বোধন করবেন।’’

রাঁচির শহরের কেন্দ্রস্থলে রাতু রোডের ধারে রাঁচি পাহাড়। ২১৪০ ফুট উঁচু রাঁচি পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে একটি শিব মন্দির। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট এই রাঁচি পাহাড়ে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। তার পর থেকে প্রতি বছর নিয়ম করে স্বাধীনতার দিন এখানে পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ বার রাঁচি পাহাড়ের চূড়ায় দ্রুত গতিতে চলছে কাজ। তৈরি করা হচ্ছে
বিশাল পতাকা-স্তম্ভ। পুরো কাজ শেষ করতে মোট খরচ পড়বে এক কোটি টাকার মতো। রাঁচির এক শিল্পপতি এর খরচ দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মহকুমা শাসক।

নির্মীয়মাণ পতাকা-স্তম্ভকে ঘিরে চলছে সৌন্দর্যায়নের কাজ। আশপাশ ঘিরে থাকবে বাগান। ঝাড়খণ্ড পর্যটন দফতরের ডিরেক্টর সুচিত্রা সিংহ বলেন, ‘‘পাহাড়ি শিব মন্দির
দেখতে এমনিতেই পর্যটকদের ভিড় হয়। এ বার বাড়তি আকর্ষণ এই জাতীয় পতাকা।’’ সে কারণেই রাঁচি পাহাড়কে ঘিরে তত্পর হয়ে উঠেছে পর্যটন দফতর। এই সৌন্দর্যায়নের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনিও। মহকুমা শাসক জানিয়েছেন,
‘‘এই পরিকল্পনার কথা জানতে পেরে ধোনিও রাঁচি পাহাড়ের সৌন্দর্যায়নের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এই বিষয়টি নিয়ে তাঁর সঙ্গে আমাদের আলোচনাও হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement