আলোচনা চেয়ে বার্তা হুরিয়তের

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এ দিনই বিচ্ছিন্নতাবাদী হুরিয়ত নেতৃত্ব জানিয়ে দিলেন, কাশ্মীর নিয়ে ‘আন্তরিক’ আলোচনায় তাঁরা সব সময়েই আগ্রহী। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের এই বার্তা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে ধারণা অনেকের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীনগর শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:৩১
Share:

—ফাইল চিত্র।

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের নেতৃত্বে কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল কাশ্মীরে পৌঁছেছে আজ। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এ দিনই বিচ্ছিন্নতাবাদী হুরিয়ত নেতৃত্ব জানিয়ে দিলেন, কাশ্মীর নিয়ে ‘আন্তরিক’ আলোচনায় তাঁরা সব সময়েই আগ্রহী। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের এই বার্তা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে ধারণা অনেকের।

Advertisement

স্বাধীনতা দিবসের ম়ঞ্চ থেকে কাশ্মীরে আলোচনা শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সরকারি সূত্রে দাবি করা হয়েছিল, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সাম্প্রতিক সফরে কাশ্মীরে উন্নয়নের বার্তা দেওয়া হবে। অন্য দিকে মনমোহনের মাধ্যমে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলবে।

আগে দিল্লি ও জম্মুতে কাশ্মীর নিয়ে ৩টি বৈঠক করেছে মনমোহনের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল। আজ শ্রীনগরে এসেছে দলটি। সেখানে কাশ্মীরি সমাজের বিভিন্ন অংশের প্রতিনিধি, বিরোধী রাজনীতিক ও ‘পঞ্চায়েত রাজ ফোরাম’-এর নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন ওই কংগ্রেস নেতারা। মনমোহন ছাড়া ওই দলে আছেন পি চিদম্বরম, গুলাম নবি আজাদ, অম্বিকা সোনি।

Advertisement

আজই তিন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি, মিরওয়াইজ ওমর ফারুক ও ইয়াসিন মালিক যৌথ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, কাশ্মীর নিয়ে আন্তরিক আলোচনার তাঁরা কখনওই বিরোধিতা করেননি। দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অবশ্যই আলোচনা হওয়া উচিত। সেই আলোচনায় কাশ্মীরের মানুষকেও সামিল করতে হবে। তিন নেতার দাবি, দিল্লিই সামরিক পথে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে। তার পরে আলোচনার কথা বলে বোঝানোর চেষ্টা করছে, কাশ্মীরের ‘স্বাধীনতা সংগ্রামে’র নেতারাই কথা বলতে আগ্রহী নন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন