Delhi High Court

‘স্ত্রীকে ঘরের কাজ করতে বললেই স্বামী ‘নিষ্ঠুর’ নন’, বিচ্ছেদের অনুমতি দিল হাই কোর্ট

নিম্ন আদালতে বিচ্ছেদের অনুমতি না পেয়ে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন যুবক। স্ত্রীর বিরুদ্ধে তিনি নিষ্ঠুরতার অভিযোগ তুলে বিচ্ছেদ চান। উচ্চ আদালত তাঁর আবেদন মঞ্জুর করেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২৪ ১৬:১৯
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

স্ত্রী ঘরের কাজ করবেন, স্বামীর এই প্রত্যাশা অন্যায় নয়। স্ত্রীকে ঘরের কাজ করতে বলা মানেই স্বামী ‘নিষ্ঠুর’ নন। একটি মামলায় সম্প্রতি এমনটাই মন্তব্য করেছে দিল্লি হাই কোর্ট। স্ত্রীর নিষ্ঠুরতায় দায়ে যুবককে বিবাহবিচ্ছেদের অনুমতিও দিয়েছে আদালত।

Advertisement

দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি সুরেশ কুমার কাইত এবং বিচারপতি নীনা বনসল কৃষ্ণার বেঞ্চে বিচ্ছেদের মামলাটি ওঠে। মামলাকারী যুবক নিম্ন আদালতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে নিষ্ঠুরতার অভিযোগ তুলে বিচ্ছেদের অনুমতি চেয়েছিলেন। সেখানে তাঁর আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন যুবক। যুবকের অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী ঘরের কোনও কাজ করেন না। সংসারের প্রতি দায়িত্ব পালন করেন না। শ্বশুরবাড়ি ত্যাগ করে চলেও গিয়েছেন তিনি। অভিযোগ, স্বামীর বিরুদ্ধে তিনি ভুয়ো অপরাধের মামলাও ঠুকেছেন। এমনকি, স্ত্রী এবং তাঁর পরিবার ওই যুবককে নিজের পরিবারের থেকে আলাদা থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ। তাই স্ত্রীর কাছ থেকে বিচ্ছেদ চেয়েছেন তিনি।

আদালতের পর্যবেক্ষণ, স্ত্রীর কাছ থেকে যুবকের যা প্রত্যাশা, তাকে নিষ্ঠুরতা বলা যায় না। কারণ, কোনও কোনও বৈবাহিক সম্পর্কে সাধারণত স্বামী অর্থনৈতিক ভার গ্রহণ করেন এবং স্ত্রী ঘর সামলান। দাম্পত্যে এই দায়িত্বগুলি ভাগাভাগি হয়ে থাকে। এটি ওই পরিবারের প্রতি স্ত্রীর ভালবাসা, শ্রদ্ধার প্রতিফলন। স্ত্রীর ওই কাজকে কোনও পরিচারিকার কাজের সঙ্গে তুলনা করাও অনুচিত।

Advertisement

একইসঙ্গে আদালত জানিয়েছে, স্বামীকে তাঁর নিজের পরিবার ছেড়ে অন্যত্র থাকতে জোর করা স্ত্রীর নিষ্ঠুরতা। কারণ যে কোনও বয়স্ক পিতামাতার প্রতি পুত্রের আইনি এবং নীতিগত দায়বদ্ধতা থাকে। সন্তান তাঁর বাবা, মাকে ছেড়ে স্ত্রীকে নিয়ে অন্যত্র থাকবেন, তা হিন্দু সংস্কৃতিতে প্রত্যাশিতও নয় বলে জানান বিচারপতি। দু’টি ক্ষেত্রে যুবকের স্ত্রীকে বিচ্ছেদের জন্য দায়ী করেছে আদালত। এক, তিনি স্বামীকে পরিবারের বাইরে থাকতে জোর করেছেন। দুই, তিনি নিজে শ্বশুরবাড়িতে না থেকে, দাম্পত্যের দায়বদ্ধতা না মেনে নিজের বাবা-মায়ের সঙ্গে গিয়ে থেকেছেন। এই দুই কারণে আদালত যুবককে বিবাহবিচ্ছেদের অনুমতি দিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন