Suchana Seth

‘ছেলেকে কুশিক্ষা দিত, মারধর করত আমাকেও’! স্বামী বেঙ্কটের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন সূচনা, আর কী বললেন?

তদন্ত করতে গিয়ে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে পুলিশের হাতে। কিন্তু সেই তথ্যগুলির মধ্যে পারস্পরিক যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:৫৬
Share:

সূচনা শেঠ। ফাইল চিত্র।

স্বামী তাঁকে মারধর করতেন। শুধু তা-ই নয়, তাঁর সন্তানকে কুশিক্ষাও দিতেন। স্বামী বেঙ্কটের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে মুখ খুললেন সন্তান খুনে অভিযুক্ত বেঙ্গালুরুর স্টার্টআপ সিইও সূচনা শেঠ। ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য সূচনাকে নিয়ে শুক্রবার গোয়ার ক্যান্ডোলিমে সেই সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্টে গিয়েছিল পুলিশ। আড়াই ঘণ্টা ধরে গোটা ঘটনাটির পুনর্নির্মাণ করা হয়।

Advertisement

তদন্ত করতে গিয়ে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে পুলিশের হাতে। কিন্তু সেই তথ্যগুলির মধ্যে পারস্পরিক যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি এই খুনের ঘটনায় যাতে কোনও তথ্যগত ফাঁক না থেকে যায়, সে দিকটাও নজর রাখছেন তদন্তকারীরা। এক পুলিশ আধিকারিক এক সাংবাদমাধ্যমকে বলেন, “কোথায় পুত্রকে শুইয়ে রেখেছিলেন, কোথায় সুটকেস রেখেছিলেন এবং কী ভাবে পুত্রের দেহ সেই বাক্সে ভরেছিলেন, সব আমাদের বলেছেন সূচনা।”

পুলিশের কাছে সূচনা দাবি করেন, আদালত এবং স্বামী বেঙ্কট তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করছিল। পুত্রকে নিজের হেফাজতে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন স্বামী। আদালত এবং স্বামীর এই কাজকে মেনে নিতে পারছিলেন না তিনি। বেঙ্গালুরুর সিইওর আরও দাবি, “স্বামী আমাকে মারধর করত। এমনকি ছেলেকেও কুশিক্ষা দিত। তাই এক দিনের জন্যও ছেলেকে ওর বাবা হাতে ছাড়তে চাইনি।”

Advertisement

সূচনা যে দাবি করছেন, তা আদৌ সত্যি কি না, খতিয়ে দেখা হবে বলে তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই সূচনার স্বামী বেঙ্কটের বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ। সূচনা তাঁর সন্তানকে কেন খুন করলেন, তা নিয়ে একাধিক তথ্য উঠে এসেছে। এই তথ্য, সূচনার দাবি এবং তাঁর স্বামী বেঙ্কটের বয়ান মিলিয়ে একটি সমাধানসূত্রে আসার চেষ্টা করছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন