বিক্রম সাইনি। ছবি: সংগৃহীত।
গরুর অসম্মান বা গোহত্যা হলে মেরে হাত, পা ভেঙে দেওয়ায় প্রকাশ্য হুঁশিয়ারি দিয়ে ফের বিতর্কে জড়ালেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি বিধায়ক বিক্রম সাইনি। মুজফফরনগর দাঙ্গার অভিযুক্ত, এক সময় জাতীয় নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হওয়া এই বিজেপি নেতার উগ্র ভাষণ এমন পর্যায়ে চড়েছিল যে, তাঁকে থামানোরও চেষ্টা করেন পাশে থাকা অন্যান্য বিজেপি নেতারাও।
উগ্র হিন্দুত্ববাদী বলে সমালোচিত যোগী আদিত্যনাথ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার পর ‘আশঙ্কা’য় অনেকেরই ভুরু কুঁচকেছে। তার পর থেকেই অতি উত্সাহিত স্বঘোষিত গোরক্ষা বাহিনী যে ভাবে লাঠিসোটা হাতে নেমে পড়েছে, তাতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে অনেক জায়গাতেই। বাড়াবাড়ি হচ্ছে বুঝতে পেরে, স্বয়ং আদিত্যনাথ পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন, এ সব কড়া হাতে সামলানোর জন্য। কিন্তু তাঁর দলের বিধায়কই যে ভাষায় প্রকাশ্য হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, তাতে এই উগ্রতার পরিবেশ কোন দিকে যাবে তা নিয়ে সংশয়ী অনেকেই।
আরও পড়ুন: প্রশাসন ও গোরক্ষা বাহিনীর জুলুমে যোগী রাজ্যে বন্ধ পাঁঠা, মুরগিও
শনিবার এক সম্বর্ধনা সভায় উপস্থিত ছিলেন খাটাউলির বিধায়ক বিক্রম সাইনি। মঞ্চে দাঁড়িয়ে তাঁর হুমকি, ‘‘যে ব্যক্তি বন্দে মাতরম্ বলতে অনিচ্ছুক অথবা জাতীয়তাবাদী আদর্শে গর্বিত নয়, গরুকে মা হিসেবে সম্মান করে না, গোহত্যা করে, আমি প্রতিজ্ঞা করছি তাঁদের হাত-পা ভেঙে দেব।’’ পাশে থাকা অন্যান্য বিজেপি নেতারা তাঁকে মাঝপথে থামানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু থামাতে পারেননি।
গো-রক্ষার জন্য কিছু সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে একটি বাহিনীও গঠন করেছেন সাইনি। তাঁর দাবি, এই দলের লোকজন রাজ্যের কোথাও গরুর অসম্মান হলেই ঝাঁপিয়ে পড়বেন। এখানেই শেষ নয়, সাইনির দাবি, ‘‘যদি পাকিস্তান কিংবা চিনের সঙ্গে যুদ্ধ বাঁধে তবে ওই দলের সদস্যরা বিনা পয়সাতেই সীমান্তে গিয়ে দেশের জন্য লড়াই করবে।’’