তেজস্বী যাদব। —ফাইল চিত্র।
তাঁর দল বললে পদত্যাগে রাজি বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব।
যাদব পরিবারে সিবিআই অভিযান ও এফআইআর দায়েরের পর মন্ত্রিসভা থেকে তাঁর পদত্যাগের দাবি উঠছিল। গত কাল পর্যন্ত কোনও ভাবেই ‘পদত্যাগ করবেন না’ বলে জানিয়েছিলেন তেজস্বী। কিন্তু কাল মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে প্রায় ৪৫ মিনিট বৈঠক করেন তেজস্বী। এরপরেই আজ ‘দল চাইলে পদত্যাগ’ করার কথা জানান তিনি। তবে আরজেডি সভাপতি লালুপ্রসাদ এ নিয়ে কোনও কথা বলতে অস্বীকার করেছেন। এ দিন তেজস্বী বলেন, ‘‘আরজেডি বিধায়করা আমাকে দলনেতা নির্বাচিত করেছেন। দলের নির্দেশেই চলব। মানুষের কাছে গিয়ে জবাবদিহি করতে আমি তৈরি।’’
কিছুদিন ধরেই নিজের দফতরে যাচ্ছেন না তেজস্বী। বাড়িতে রয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ক্যাম্প অফিসে বসেই কাজ চালাচ্ছি। কাজের কোনও সমস্যা হচ্ছে না।’’ নীতীশ কুমারের সঙ্গে গত কালের বৈঠক প্রসঙ্গে অবশ্য কোনও কথা বলতে রাজি হননি তিনি। তবে কালকের বৈঠকে বরফ যে গলেনি সে ব্যাপারে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত। জোট সরকারের এই সঙ্কটের মধ্যেই আজ দিল্লি গিয়েছেন তেজস্বী।
আরও পড়ুন: ট্রাম্প-পুতিন গোপনে কথা! তোলপাড় বিশ্ব
আজ সারাদিন মুখ্যমন্ত্রী নিবাস থেকে বের হননি নীতীশ। কোনও সরকারি অনুষ্ঠানেও হাজির হননি। বিজেপির দুই কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে নীতীশের টেলিফোনে কথা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, হাইকম্যান্ডের নির্দেশে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী অশোক চৌধুরী লালু্প্রসাদ ও নীতীশ কুমারের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করছেন। কংগ্রেসের তরফে তাঁকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কালকের নীতীশ-তেজস্বী বৈঠকেও তিনি হাজির ছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘আরজেডি নেতৃত্বকে মহাজোটের স্বার্থেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’’