ভোরবেলা যখন একের পর এক গুলির শব্দে কেঁপে উঠছে গুরুদাসপুর তখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ছিলেন ভোপালে। খবর পেয়েই দিল্লির উদ্দেশে রওনা হন তিনি। তার আগেই কথা বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিংহ বাদলের সঙ্গে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা, এনএসজি নামানোর নির্দেশ দেন। এমনকী, সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বিএসএফকে সতর্কও করেন। জাতীয় নিরাপত্তা প্রশ্নে কোনও আপোষ করা হবে না বলেও এ দিন জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
রাজনাথ স্পষ্ট ভাবে বলেন, ‘‘পাকিস্তান বিষয়ে আমরা শান্তি চাই। কিন্তু, দেশের সম্মান বিসর্জন দিয়ে নয়। আমরা প্রথমে হামলা চালাই না। কিন্তু, কেউ আমাদের উপর আক্রমণ চালালে হাত গুটিয়ে বসে থাকব না। যোগ্য জবাব দেওয়া হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে যখন ভাল সম্পর্ক গড়তে চাইছি, তখন কেন বার বার সীমান্তে হামলা চালানো হচ্ছে বুঝতে পারছি না!’’ এ বিষয়ে মঙ্গলবার সংসদে বিবৃতি দেবেন তিনি।
সকালেই তিনি বাদলকে জানিয়ে দিয়েছিলেন, সন্ত্রাস প্রসঙ্গে সব রকম ভাবেই পঞ্জাবকে সাহায্য করবে কেন্দ্র। যদিও বাদল এ দিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘জঙ্গিরা পঞ্জাব থেকে আসেনি। এসেছে সীমান্ত পেরিয়ে। সীমান্ত সিল করে দেওয়াটা কেন্দ্রের দায়িত্ব।’’ কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধীরাও এ দিন সংসদে কেন্দ্রের দিকে আঙুল তোলে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলি আগাম খবর দিতে যে ব্যর্থ, সেই অভিযোগ তোলা হয়। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডু এ দিন কংগ্রেসের ভূমিকার সমালোচনা করে বলেন, ‘‘এটা রাজনীতির সময় নয়।’’
এ দিন সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের শীর্ষ স্থানীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। রাজনাথ তখনও দিল্লি না পৌঁছনোয় সেই বৈঠকে হাজির থাকতে পারেননি। তবে সূত্রের খবর, এ দিন তিনি গুরুদাসপুরের পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন।