শিলচরে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম ক্রমে বাড়ছে। ব্যবসায়ীরাই দাম ঠিক করছেন। জেলা প্রশাসন সে সব ব্যাপারে উদাসীন বলে অভিযোগ সাধারণ মানুষের।
গ্রাহক সুরক্ষা সমিতিও মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সরব হয়েছে। সাধারণ সম্পাদক বিপ্লবকুমার গোস্বামী আলুর দামকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন। তিনি জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় এই সময়ে আলু ২৫ টাকা কিলোগ্রাম দরে বিক্রি হচ্ছে। শিলচরের বাজারে ৩০ টাকা কিলোগ্রাম। শহরের বাইরে আরও এক-দুই টাকা বেশি।
তিনি এ জন্য জেলা প্রশাসন এবং খাদ্য ও গণবণ্টন বিভাগের কর্মকর্তাদের দোষারোপ করেন। গোস্বামীবাবুর বক্তব্য, ২৫ জুন মুখ্যমন্ত্রী জরুরি বৈঠকে বসে জেলাশাসকদের পাইকারি ও খুচরো বাজার পরিদর্শন করে রিপোর্ট পাঠাতে বলেছিলেন। কাছাড়ের জেলাশাসক এস বিশ্বনাথন ওই নির্দেশ পেয়ে দু-দিন সক্রিয় ছিলেন। পরে দু’মাসে আর বাজারের খোঁজখবর করেননি। খাদ্য ও গণবণ্টন বিভাগের অফিসার-কর্মীরাও কার্যত নিষ্ক্রিয়। সেই সুবাদে অসাধু ব্যবসায়ীরা বুক ফুলিয়ে গ্রাহকদের ঠকাচ্ছেন। কালোবাজারিরা অবাধে নিজেদের কাজকারবার চালিয়ে যাচ্ছে।
বিপ্লববাবুর অভিযোগ, শুধু ইচ্ছেমতো মূল্যবৃদ্ধি ও বেআইনি মজুত করা নয়, প্রশাসনিক উদাসীনতার সুযোগে ভেজাল খাদ্যদ্রব্যেও বাজার ভরে গিয়েছে। তা থেকে যে কোনও সময় গ্রাহকরা মারাত্মক ধরনের শারীরিক সমস্যায় পড়তে পারেন। তাঁর কথায়, ‘‘এখানে খাদ্যের মান যাচাইয়ের বিষয়টি অবহেলিত। এমনকী, ৬০ শতাংশ খাদ্যবস্তু বিক্রেতার কোনও রেজিস্ট্রেশন নেই। সরকার এখানে এক জন ডেজিগনেটেড অফিসার ও তাঁর সঙ্গে একজন পিয়ন দিয়ে পুরো বরাক উপত্যকা এবং ডিমা হাসাও ও কার্বি আলং জেলা সামলানোর কাজ চাপিয়ে রেখেছে। ফলে কোনওকিছুই ঠিকঠাক দেখভাল হয় না।’’
কাছাড়ের জেলাশাসক এস বিশ্বনাথন বর্তমানে সরকারি কাজে জেলার বাইরে রয়েছেন। অতিরিক্ত জেলাশাসক রাজীব রায় জানিয়েছেন, অতিরিক্ত আলুর দামের অভিযোগ তাঁরাও পেয়েছেন। এর পরই সংশ্লিষ্ট সমস্ত অফিসারদের ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।