প্রশ্নপত্রে পৃথক দেশ কাশ্মীর, ধন্দ

সরকারি স্কুলের পরীক্ষার ওই প্রশ্নপত্রে কাশ্মীরকে আলাদা দেশ হিসেবে চিহ্নিত করায় সমালোচনা ছড়ায় গোটা বিহারে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পটনা শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৭ ০২:৩৩
Share:

ফাইল চিত্র।

প্রশ্নপত্র দেখে চোখ চড়কগাছ সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়াদের। তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে— চিন, নেপাল, ইংল্যান্ড, ভারত এবং কাশ্মীর ‘দেশের’ নাগরিকদের কী নামে ডাকা হয়!

Advertisement

সরকারি স্কুলের পরীক্ষার ওই প্রশ্নপত্রে কাশ্মীরকে আলাদা দেশ হিসেবে চিহ্নিত করায় সমালোচনা ছড়ায় গোটা বিহারে। মুখ বাঁচাতে শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা বলছেন, ‘‘ওটা ছাপার ভুল।’’

বিহার এডুকেশন প্রোজেক্ট কাউন্সিলের (বিইপিসি) সপ্তম শ্রেণির ষান্মাসিক পরীক্ষায় ওই প্রশ্নটি ছিল— নিম্নলিখিত দেশের বাসিন্দাদের কী বলা হয়? পাঁচটি নাম ছিল তাতে— চিন, নেপাল, ইংল্যান্ড, ভারত
ও কাশ্মীর!

Advertisement

বিইপিসি-র প্রকল্প পরিচালক সঞ্জয়কুমার সিংহ অবশ্য দাবি করেন, ছাপার সময় একটি শব্দ বাদ পড়ে যাওয়াতেই এই বিপত্তি। তিনি বলেন, ‘‘আসল প্রশ্নটি ছিল, নিম্নলিখিত দেশ বা রাজ্যের বাসিন্দাদের কী বলা হয়?’’ তাঁর বক্তব্য, পাঠ্যবইয়ে ওই ভাবেই প্রশ্নটি লেখা রয়েছে। কোনও ভাবে প্রশ্নপত্র ছাপার সময় রাজ্য শব্দটি বাদ পড়ে যায়। কী ভাবে এমন ঘটল তা দেখতে দফতরের কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রশ্নপত্র তৈরির কাজে বহাল এক শিক্ষক এবং এক সেকশন অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। শিক্ষা দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, পরীক্ষার আগে বিশেষজ্ঞরা প্রশ্নপত্র খতিয়ে দেখেন। তা সত্ত্বেও কী ভাবে এমন ভুল থেকে গেল তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন