রাজ্যের হিংসা নিয়ে সরব লকেট

দিলীপ ঘোষ গত কাল লোকসভায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা প্রশ্নে সরব হলে রা কাড়েনি তৃণমূল। দল ঠিকই করেছে, দিলীপবাবুর বক্তব্যকে সে ভাবে গুরুত্বই দেবে না তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০১৯ ০৩:৩০
Share:

লকেট চট্টোপাধ্যায়।

বাংলার আইন-শৃঙ্খলার অবনতি প্রসঙ্গে সংসদে লাগাতার সরব থাকার কৌশল নিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। ঝাড়খণ্ডে জোর করে জয় শ্রীরাম বলিয়ে পিটিয়ে খুনের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাজ্যসভায় আজ বাংলার নামও টেনে আনেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একই অঙ্কে আজ লোকসভায় অগ্রাসী ভূমিকায় দেখা গেল লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। নির্বাচনের আগে ও পরে কী ভাবে রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসা বেড়ে গিয়েছে, হুগলির বিজেপি সাংসদ তার হিসেব তুলে ধরলেন জিরো আওয়ারে।

Advertisement

দিলীপ ঘোষ গত কাল লোকসভায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা প্রশ্নে সরব হলে রা কাড়েনি তৃণমূল। দল ঠিকই করেছে, দিলীপবাবুর বক্তব্যকে সে ভাবে গুরুত্বই দেবে না তারা। আজ কিন্তু লকেটের বলার সময়ে বারবার তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করে গোটা তৃণমূল বেঞ্চ। বিশেষ করে হুগলিরই তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এতেই কেউ কেউ মনে করছেন, রাজ্য রাজনীতিতে লকেটকে গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে তৃণমূল। যদিও প্রকাশ্যে তা মানতে চাননি দলের নেতারা।

তবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যে বাংলা থেকে থেকে জিতে আসা নতুন ১৬ জনের মধ্যে লকেটকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুখ হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন, সেটা বেশ স্পষ্ট। রাজ্য বিজেপির এক নেতার কথায়, ‘‘লকেট অত্যন্ত পরিশ্রমী ও লড়াকু। তা না-হলে হুগলির মতো আসন থেকে জিতে আসা সম্ভব হত না।’’ বছর খানেক আগেও রাজ্য বিজেপির মহিলা নেত্রী হিসেবে অন্যতম মুখ ছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু গত কয়েক মাসে, বিশেষ করে ভোটপর্বে ও জিতে আসার পরে রূপার জায়গাটি অনেকটাই কেড়ে নিয়েছেন লকেট।

Advertisement

বিজেপি সূত্র বলছে, দল বৃহত্তর আঙিনায় দেখতে চাইছেন লকেটকে। মন্ত্রি কার না হলেও প্রথম বারের সাংসদ লকেটকে লোকসভায় দলের সচেতক করেছে দল। লোকসভার দিনের কার্যবিবরণী বোঝানো থেকে বিতর্কে অংশ নেওয়া, দলের পক্ষ থেকে কী বক্তব্য রাখতে— দলের এক ডজন মহিলা সাংসদকে তা বিস্তারিত বুঝিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে লকেটকে। তবে কি রাজ্য রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়া হল লকেটকে? দল বলছে, উল্টোটা। সম্ভাবনা রয়েছে বুঝেই প্রথম বারের সাংসদ হলেও তাঁকে ওই দায়িত্ব দিয়েছে দল।

এ দিন লোকসভায় বলতে উঠেই লকেট সরাসরি আক্রমণ শানান রাজ্য প্রশাসনকে। তিনি বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে লোকসভা পর্যন্ত প্রায় ১০০ জন বিজেপি কর্মী মারা গিয়েছেন। স্রেফ রাজনীতির কারণে ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থের কথা ভেবে এই সব হত্যা করা হয়েছে।’’ এর পরেই ভাটপাড়ায় নিহত দুই বিজেপি কর্মীর প্রসঙ্গ টেনে পুলিশি অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হন লকেট। তাঁর অভিযোগ, পুলিশের গুলিতে ওই দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। বাঁকুড়ায় পুলিশ একটি ছাত্রকে এমন মেরেছে সে এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। বসিরহাটে সাত জন বিজেপি কর্মী এখনও নিখোঁজ। তৃণমূলের কল্যাণ বলেন, ‘‘এ ভাবে রাজ্যের বিষয় সংসদে তোলা যায় না। এমনটা চলতে থাকলে কাল থেকে তৃণমূলও পাল্টা আইন-শৃঙ্খলার বিষয়টি লোকসভায় তুলবে।’’

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন