বিচার বিভাগ স্বাধীনই থাকবে: লোঢা

বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের কোনও চেষ্টাই সফল হবে না বলে জানিয়ে দিলেন প্রধান বিচারপতি আর এম লোঢা। নয়াদিল্লির এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের চেষ্টা রুখে দেওয়ার ক্ষমতা বিচার বিভাগের আছে।” প্রধান বিচারপতির আপত্তি সত্ত্বেও সম্প্রতি হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নিয়োগের পদ্ধতি বদলের পথে এগিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৩:২৮
Share:

বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের কোনও চেষ্টাই সফল হবে না বলে জানিয়ে দিলেন প্রধান বিচারপতি আর এম লোঢা। নয়াদিল্লির এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের চেষ্টা রুখে দেওয়ার ক্ষমতা বিচার বিভাগের আছে।”

Advertisement

প্রধান বিচারপতির আপত্তি সত্ত্বেও সম্প্রতি হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নিয়োগের পদ্ধতি বদলের পথে এগিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। কলেজিয়াম ব্যবস্থা তুলে দিয়ে বিচারপতি নিয়োগ কমিশন গঠন সংক্রান্ত বিলে সায় দিয়েছে সংসদ। এখন বিলটি রাজ্যগুলির বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়েছে। আজ সরাসরি সেই বিলের কথা না বললেও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রশ্নে লোঢা সেদিকেই ইঙ্গিত করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

আজ প্রধান বিচারপতি বলেন,“সাধারণের আত্মবিশ্বাস বজায় রাখতেই বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতার প্রয়োজন। মানুষের মনে এই বিশ্বাস থাকা উচিত যে, প্রশাসন বা অন্য কেউ ভুল করলে স্বাধীন বিচার ব্যবস্থাই তাঁদের সাহায্য করবে।” বিচারপতিদের প্রতি তাঁর বার্তা, ‘‘সতর্ক থাকুন। অনেকেই আপনাদের লোভ দেখাবে, বোকা বানানোর চেষ্টা করবে। বিচার বিভাগে দুর্নীতি গণতন্ত্রের পক্ষে ভয়ঙ্কর।” কিছু দিন আগেই লন্ডন সফর সেরে এসেছেন লোঢা। আজ সেই প্রসঙ্গ টেনে তিনি ব্রিটেনের বিচার বিভাগীয় নিয়োগ কমিশনের উল্লেখ করেন। বলেন, “পাঁচ বছর আগে ওই কমিশন তৈরি হওয়ার পর নিয়োগের মান নিয়ে কোনও আপস হয়নি। বরং আরও স্বচ্ছ হয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়া।”

Advertisement

প্রধান বিচারপতির মতে, চিকিৎসায় গাফিলতি, পেটেন্ট, গ্যাস ও ওষুধের মূল্য নির্ধারণ-সহ নানা ধরনের মামলায় আইনজীবীদের দক্ষ হওয়া উচিত। তাঁর কথায়, “কেবল পুরনো ধরনের মামলায় আটকে থাকলে হবে না।” তিনি জানিয়েছেন, এখন চিকিৎসক, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছেন আইনজীবীরা। আমেরিকায় আইনের নতুন নতুন শাখায় পারদর্শী করতে আইনজীবীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। এ দেশেও বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রশিক্ষণের কথা ভাবা উচিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন