করিমগঞ্জ শহরে কাঁটাতারের বেড়া বসানো নিয়ে বৈঠক করলেন ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্তারা।
আজ শহরের কালীবাড়ি রোডের দশমীঘাট এলাকার একটি অতিথিনিবাসে ওই বৈঠক করা হয়। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, উপ-পরিদর্শক পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশের সীমান্তরত্ক্ষী বাহিনীর সিলেট সেক্টরের আঞ্চলিক কম্যান্ডার খালিদুজ্জামান, সেক্টর কম্যান্ডার আব্দুল আলমুমিন উপস্থিত ছিলেন। ভারতের তরফে ছিলেন শিলচর ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি ও পি ত্রিপাঠী।
মাদকদ্রব্য পাচার রুখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের বিষয়ে আলোচনা হয়। কথা হয় করিমগঞ্জ শহরে কাঁটাতারের বেড়া বসানো নিয়েও। উল্লেখ্য, করিমগঞ্জ জেলায় বাংলাদেশ লাগোয়া ১১০ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে জেলা সদরের সাড়ে ৩ কিলোমিটার নদীসীমান্ত এখনও উন্মুক্ত।
ভারত সরকার সরিসা থেকে দেওপুর পর্যন্ত উন্মুক্ত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া বসানোর জন্য বার বার উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের আপত্তিতে তা বাস্তবায়িত হয়নি। ওই উন্মুক্ত সীমান্ত দিয়েই চোরাকারবার চলছে বলে অভিযোগ। বিএসএফ চায়, কাঁটাতারের বেড়া বসানো হোক নদীর তীরে। বিজিবি তা মানতে নারাজ। ওই বাহিনীর বক্তব্য, আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে সীমান্তের ১৫০ মিটার ছেড়েই বসানো হোক কাঁটাতার। কিন্তু সে ক্ষেত্রে করিমগঞ্জের কয়েকটি জায়গা কাঁটাতারের বাইরে থেকে যাবে।
সরিষা থেকে দেওপুর এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল অনেক দিন আগে। কিন্তু বাংলাদেশ আপত্তি করায় তা বন্ধ রাখতে হয়। বিভিন্ন সময় ভারত-বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু কাজ এগোয়নি। এ দিন ফের ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রতিনিধিরা স্পিডবোটে সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।