সদ্য হয়ে যাওয়া ভারত-পাকিস্তান বিদেশ সচিব বৈঠকে পারস্পরিক দোষারোপের ঘাত-প্রতিঘাত যা-ই হোক না কেন, বাস্তবে নরেন্দ্র মোদী ও নওয়াজ শরিফ দু’জনেই দু’দেশের বিরোধের বরফ গলিয়ে একটা সমাধানের রাস্তা খুঁজে বার করতে যথেষ্ট সক্রিয়।
বিদেশসচিব স্তরের বৈঠক শেষ করে পাক বিদেশসচিব সে দিন ফিরে গেলেও ভারতে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন, এমন ছ’জন প্রাক্তন পাক হাইকমিশনার ইসলামাবাদে থাকা পাঁচ জন প্রাক্তন ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে আজ দিল্লিতে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন। এই বৈঠক আয়োজন করেছিল বেসরকারি সংস্থা অ্যাসপেন। বর্তমানে কর্মরত দুই হাইকমিশনার, আব্দুল বাসিত ও গৌতম বাম্বাওয়ালের আসার প্রস্তাব থাকলেও তাঁদের এই বৈঠকে রাখা হয়নি। কারণ দুই দেশই চেয়েছিল এ’টিকে ‘ট্র্যাক টু’ হিসেবেই রাখতে।
ফলে বৈঠকে ছিলেন শিবশঙ্কর মেনন, জি পার্থসারথি, সত্যব্রত পাল, রাঘবন, কে এস বাজপেয়ী। পাকিস্তানের যে সব প্রাক্তন হাইকমিশনার বৈঠকে ছিলেন, তাঁরা হলেন হুমায়ুন খান, সলমন হায়দর, জাহাভ্হির কাজি, আজিজ আহমেদ ও রিয়াজ খোখার।
এই বৈঠকে একটি বিষয় খুব স্পষ্ট। পাকিস্তানে সেনাবাহিনী, আইএসআই ও জেহাদি সংগঠনও যে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, সেটি মাথায় রেখে দু’পক্ষই দু’দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে ‘এনগেজমেন্ট’-এর প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করেছে। সেপ্টেম্বর মাসে ইসলামাবাদে সার্ক সম্মেলন হওয়ার কথা। তাতে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তার আগে বরফ গলানোর সূত্র খোঁজাটাই এই বৈঠকের লক্ষ্য ছিল।