বাংলাদেশের বিদেশ সচিব শাহিদুল হক।
আন্তর্জাতিক সড়ক যোগাযোগের পর এবার আন্তর্জাতিক রেল যোগাযোগ গড়ে তোলার বিষয়েও একমত হল ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান। বাংলাদেশের বিদেশ সচিব শাহিদুল হক নয়াদিল্লিতে মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন। শীঘ্রই চার দেশ পরস্পরের সঙ্গে রেলপথে যুক্ত হওয়ার লক্ষ্যে কাজ শুরু করবে বলে তিনি জানান।
সার্ক-এ ৮টি সদস্য দেশ রয়েছে। ২০১৪ সালে নেপালে অনুষ্ঠিত সার্ক সম্মেলনে যোগ দিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই ৮টি দেশের মধ্যে অবিচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ গড়ে তোলার প্রস্তাব দেন। কিন্তু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ তাতে আপত্তি করেন। তিনি তখন জানান, অত বড় সড়ক প্রকল্পের কাজ শুরু করা পাকিস্তানের পক্ষে সমস্যার ব্যাপার। মোদী তখন বলেন, সার্ক-ভুক্ত যে সব দেশ এখনই সড়ক যোগাযোগ তৈরিতে প্রস্তুত, সেই দেশগুলিই আপাতত এই প্রকল্প এগিয়ে নিয়ে যাবে। ভারত ছাড়াও বাংলাদেশ, নেপাল এবং ভুটান পরস্পরের মধ্যে নিবিড় সড়ক যোগাযোগ গড়ে তুলতে রাজি হয়। সেই আন্তর্জাতিক পরিবহণ প্রকল্প এ বার আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। সড়কের পাশাপাশি রেলপথেও পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ আরও অনেক বাড়ানো হবে বলে চারটি দেশের সরকার একমত হয়েছে। বাংলাদেশের বিদেশ সচিব শাহিদুল হক মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে সাংবাদিকদের জানান- ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে অবিচ্ছিন্ন রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠতে চলেছে।
আরও পড়ুন:
মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহিদ ঐতিহাসিক তথ্য, বলল আন্তর্জাতিক আদালত
সড়কের পাশাপাশি এই রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠলে চার দেশের মধ্যে পণ্য পরিবহণ আরও গতি পাবে। যেমন নেপাল বা ভুটান যদি সমুদ্রপথে কোনও পণ্য আমদানি করতে চায়, তাহলে সেই পণ্যবাহী জাহাজ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছলেই কাজ মিটে যাবে। সেখান থেকে ট্রেনে করে পণ্য ভারত হয়ে নেপাল বা ভুটানে পৌঁছে যাবে। চার দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানির প্রক্রিয়াও অনেক সরল হবে।