গঙ্গার পারের ৫০০ মিটারের মধ্যে কোনও নোংরা বা আবর্জনার স্তূপ রাখা যাবে না। ছবি: পিটিআই
গঙ্গার জলে নোংরা, আবর্জনা ফেলা নিষিদ্ধ হয়েছিল বহু দিনই। গঙ্গার ধারে সারি দিয়ে গড়ে ওঠা চামড়ার কারখানাগুলিও সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। উত্তরপ্রদেশে গঙ্গা বাঁচাতে এ বার আরও কঠোর কেন্দ্রীয় সরকার। গঙ্গার পারে আবর্জনা ফেলাতেও নিষেধাজ্ঞা জারি হল এ বার। বৃহস্পতিবার জাতীয় পরিবেশ আদালত (এনজিটি) জানায়, উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বার এবং উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের মধ্যে গঙ্গার সম্প্রসারিত যে অংশ রয়েছে তার পারের ৫০০ মিটারের মধ্যে কোনও নোংরা বা আবর্জনার স্তূপ রাখা যাবে না। গঙ্গার পারে দূষণ ছড়ালে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সংস্থাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও দিতে হবে বলে জানিয়েছে এনজিটি। সম্প্রসারিত গঙ্গার ওই অংশে কোনও রকম নির্মাণের কাজও করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে। গঙ্গাপারের ১০০ মিটার এলাকাকে হিন্দুরা পবিত্র বলে মনে করেন, সেই কারণেই পরিবেশ আদালতের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চিনের সঙ্গে বিরোধ নিয়ে কাল সুষমার সর্বদলীয় বৈঠক
পাশাপাশি, ছয় সপ্তাহের মধ্যে কানপুরের জজমাউ এলাকায় থাকা সমস্ত চামড়া কারখানা উন্নাও বা অন্য কোনও উপযুক্ত স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশও দিয়েছে পরিবেশ আদালত। এই কারখানাগুলি থেকে প্রচুর পরিমাণে ক্রোমিয়াম এসে মেশে গঙ্গার জলে। যা জলজ বাস্তুতন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতি করে। ফলে বহু দিন ধরেই এই কারখানাগুলি সরিয়ে ফেলার চিন্তাভাবনা চলছিল। মুখ্যমন্ত্রী হয়ে আসার পর এ নিয়ে একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথও। কিন্তু এখনও সমস্ত কারখানা সরিয়ে ফেলা সম্ভব হয়নি। ছয় সপ্তাহের মধ্যে ওই কারখানাগুলি সরানো না হলে সেগুলি বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে এ দিন জানিয়েছে এনজিটি।
গঙ্গার পাশে অবর্জনা ফেলা হচ্ছে কি না এবং সেই অপরাধে জরিমানা করা হচ্ছে কি না, তা তদারকি করার জন্য গঠন করা হবে বিশেষ দল। পাশাপাশি, গঙ্গার যে সমস্ত ঘাটে পূণ্যার্থীরা আসেন সেখানে এই বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করার কথাও উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড সরকারকে বলা হয়েছে এনজিটি-র তরফে।