জঙ্গি দমনে চার পরামর্শ ভারতের

বিদেশ মন্ত্রকের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগের বিশেষ সচিব রিনা মিত্র ওই বৈঠকে সন্ত্রাস রোধে যে চারটি প্রস্তাব দিয়েছেন, তার মধ্যে দু’টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৮ ০৩:২৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

সন্ত্রাসবাদ বন্ধের জন্য তাত্ত্বিক আলোচনা শুধু নয়, প্রয়োজন হাতেকলমে কিছু জরুরি পদক্ষেপও। সম্প্রতি নিউইয়র্কে শীর্ষপর্যায়ের সন্ত্রাসবিরোধী সম্মেলনে এই মর্মে কিছু নির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়ে এসেছে নয়াদিল্লি। একই সঙ্গে নাম না করে জঙ্গিদের মদত দেওয়ার প্রশ্নে পাকিস্তানের ভূমিকার কড়া সমালোচনাও করেছে ভারত।

Advertisement

বিদেশ মন্ত্রকের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগের বিশেষ সচিব রিনা মিত্র ওই বৈঠকে সন্ত্রাস রোধে যে চারটি প্রস্তাব দিয়েছেন, তার মধ্যে দু’টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। প্রথমেই বলা হয়েছে, আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মঞ্চকে সন্ত্রাস ছড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে — এটা আর কোনও নতুন তথ্য নয়। সন্ত্রাস ছড়ানোর পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাড়িয়ে
দেশের মধ্যে অস্থিরতা ছড়ানোর কাজেও লাগানো হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াকে। এই বিষয়টির রাশ টানতে রাষ্ট্রপুঞ্জের নেতৃত্বে বিভিন্ন দেশকে সদিচ্ছা নিয়ে সহযোগিতার পথে হাঁটতে হবে— এমনটাই জানিয়ে এসেছে ভারত।

পাশাপাশি আরও একটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে দেখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে। সেটি হল জঙ্গিদের বিচার এবং তাদের নাশকতার তদন্তের বিষয়টিকে আরও বেশি কার্যকরী করার জন্য দক্ষতা এবং সদিচ্ছা তৈরি করা হোক। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, অতীতে বারবার দেখা গিয়েছে ভারত-বিরোধী নাশকতার ভূরি ভূরি প্রমাণ পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়া সত্ত্বেও সে দেশের তদন্তকারী সংস্থা চূড়ান্ত অসহযোগিতা করেছে। পাশাপাশি পাক আদালতও ভারতের দেওয়া সাক্ষ্যপ্রমাণকে গুরুত্ব দেয়নি। যার ফলে ভারত-বিরোধী জঙ্গি চক্রান্তের মূল মস্তিষ্কেরা বরাবরই পাকিস্তানের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে পারছে। আরও যে প্রস্তাবগুলি দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে আন্তর্দেশীয় কার্যকরী গোয়েন্দা তথ্যের দ্রুত বিনিময়, সীমান্তরক্ষার ক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়ানো, বিদেশি পর্যটকদের সম্পর্কে আরও বেশি তথ্য জোগাড়ের মতো বিষয়গুলি।

Advertisement

রাষ্ট্রপুঞ্জের অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের নামোল্লেখ না করে বিদেশ মন্ত্রকের বিশেষ সচিব বলেছেন, ‘‘আজকের দিনে সন্ত্রাসবাদীরা বিভিন্ন উপায়ে তাদের আর্থিক রসদ জোগাড় করছে। রাষ্ট্রের সহায়তায় আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস চালাচ্ছে। নিরাপরাধ মানুষকে হত্যা করছে। তারা নির্বিঘ্নে নাশকতা চালাচ্ছে, কেন না কিছু দেশ এখনও প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে জঙ্গি নেটওয়ার্ককে ধ্বংস করার জন্য উদ্যোগী হচ্ছে না। আরও ভয়ানক বিষয় হল, কিছু দেশ জঙ্গিদের কাজে লাগাচ্ছে নিজেদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন