হেরাল্ডে আপাতত স্বস্তি কংগ্রেসের

ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় স্বস্তিতে কংগ্রেস। ওই সংবাদপত্রের দফতর খালি করতে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের নোটিসের উপরে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিতাদেশ জারি করেছে দিল্লি হাইকোর্ট।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:৪০
Share:

ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় স্বস্তিতে কংগ্রেস। ওই সংবাদপত্রের দফতর খালি করতে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের নোটিসের উপরে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিতাদেশ জারি করেছে দিল্লি হাইকোর্ট।

Advertisement

৫৬ বছরের লিজ বাতিল করে, ন্যাশনাল হেরাল্ডের প্রকাশক অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড (এজেএল)-কে ১৫ নভেম্বরের মধ্যেই দফতর ছাড়ার নোটিস দিয়েছিল কেন্দ্র। তবে আদালতের নির্দেশের পরে, নয়াদিল্লির আইটিও এলাকার ওই দফতর থেকে আপাতত সরতে হচ্ছে না সংবাদপত্রটিকে।

এ দিন মামলার শুনানির সময়ে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটা জানান, মধ্যাহ্নভোজের পরে তাঁর পক্ষে সওয়াল করা সম্ভব নয়। শীর্ষ আদালতে অন্য একটি মামলার কাজে যেতে হবে তাঁকে। আদালত তখন বলে, সরকার যদি আর এক দিন মামলার শুনানি চায়, সে ক্ষেত্রে ওই সময় পর্যন্ত লিজ নিয়ে স্থিতাবস্থা রাখতে হবে। বিচারপতি সুনীল গড়ের সামনে সরকার আজ এ ব্যাপারে মৌখিক আশ্বাস দিয়েছে।

Advertisement

এজেএল-এর আইনজীবী অভিযেক মনু সিঙ্ঘভি লিজ বাতিলে নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনে থাকা ‘ল্যান্ড অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অফিস’-এর নির্দেশের বিরোধিতা করেন। নির্দেশে বলা হয়েছে, জায়গাটি সরকারকে ফেরত না দিলে কর্তপক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিঙ্ঘভি অভিযোগ আনেন, ওই সংস্থার দুই অফিসার হেরাল্ডের দফতরে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করেছে। মেটা অভিযোগ অস্বীকার করলে আদালত সিঙ্ঘভিকে তাঁর মক্কেলের থেকে বিষয়টি যাচাই করে দেখার নির্দেশ দেয়। কয়েক মিনিট পরেই কোর্টে ওই দু’জনের ছবি দেখিয়ে দেন সিঙ্ঘভি। তাঁদের নামও জানান। এর পরেই আদালত বলে, ‘‘এ ভাবে ওই জায়গার দখল নিতে পারে না ল্যান্ড অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অফিস।’’

সিঙ্ঘভির যুক্তি, সংশ্লিষ্ট জায়গায় ছাপাখানা নেই বলে নোটিসে জানানো হয়েছে। অথচ ২০১৮ সালের জুন মাসেই প্রথম এমন কথা জানায় সরকার। ২০১৬-র নোটিসে এ সব কথা লেখা ছিল না। সিঙ্ঘভির মতে, সম্পাদকীয় দফতর ও ছাপাখানা একসঙ্গে না-ই থাকতে পারে। ন্যাশনাল হেরাল্ডের শেয়ার হোল্ডার ‘ইয়ং ইন্ডিয়ান’ কে এজেএল সম্পত্তি হস্তান্তর করেছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে সিঙ্ঘভি বলেন, ‘‘শেয়ারহোল্ডিং-এ বদল এলেও সম্পত্তি হস্তান্তর হয়নি।’’ আর শেয়ারহেল্ডিং-এ বদলের আগে কেন্দ্রের ওই সংস্থার থেকে ছাড়পত্র নেওয়ার শর্ত লিজে লেখা ছিল না বলেই জানান তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন