প্রতীকী ছবি.
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বড় ধাক্কা খেল কংগ্রেস। দিল্লির আইটিও এলাকায় ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রের সদর দফতর দু’সপ্তাহের মধ্যে খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট। গত ৩০ অক্টোবর কেন্দ্রীয় সরকার এবং ভূমি ও উন্নয়ন দফতর ৫৬ বছরের পুরনো লিজ বাতিল করে কংগ্রেসের মুখপত্র ন্যাশনাল হেরাল্ডের প্রকাশনা সংস্থা অ্যাসোসিয়ে়টেড জার্নালস লিমিটেড (এজেএল)-কে নোটিস পাঠায়। খালি করে দিতে বলা হয় হেরাল্ড হাউস। সেই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় এজেএল। কিন্তু আজ সেই আর্জি খারিজ করেন বিচারপতি সুনীল গৌর।
কেন্দ্রের অভিযোগ, সংবাদপত্র প্রকাশের জন্য হেরাল্ড হাউস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২০০৮ থেকে সেই কাজ বন্ধ রয়েছে। বাড়িটি ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু সেই সব অভিযোগ উড়িয়ে এজেএল-এর পাল্টা দাবি, বিরোধী কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করতেই এই পদক্ষেপ। গত ১২ নভেম্বরও ন্যাশনাল হেরাল্ড একটি টুইটে দাবি করে, অনলাইনে তাদের নজরকাড়া উপস্থিতির জন্যই নরেন্দ্র মোদী সরকার তাদের নিশানা করছে।
আদালতে ন্যাশনাল হেরাল্ডের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিও জানান, ২০০৮ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত আর্থিক অবনতির জন্য সংবাদপত্র প্রকাশ বন্ধ ছিল। বর্তমানে অবস্থার উন্নতি হওয়ায় ইংরেজি, হিন্দি, উর্দুতে কাগজ বেরোচ্ছে। রয়েছে অনলাইন পোর্টাল। হাইকোর্ট অবশ্য হেরাল্ড হাউস খালি করারই নির্দেশ দিয়েছে।
এই রায় বিজেপির হাত শক্ত করল বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ হেরাল্ডকে ঘিরে কংগ্রেস এবং সনিয়া গাঁধী-রাহুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলছে বিজেপি। সনিয়া-রাহুলের বিরুদ্ধে মামলাও ঠুকেছেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।