চলছে তল্লাশি অভিযান।
উপত্যকায় ফের সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ। বৃহস্পতিবার সকালে জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার হান্দওয়ারা এলাকায় সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে এক জঙ্গি নিহত হয়েছে।
হান্দওয়ারার ক্রালগুন্দ এলাকা থেকে প্রচুর বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। এলাকায় এক দল জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে, এমনটাই খবর ছিল সেনার কাছে। সেই মতোই শুরু হয়েছিল তল্লাশি অভিযান। তল্লাশি শুরু হতেই সেনাবাহিনীর উপর গুলিবৃষ্টি শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় সেনাবাহিনীও। তবে জঙ্গিরা কোন দলের, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
হান্দওয়ারা এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। তল্লাশি অভিযান জারি রয়েছে ওই ওলাকায়। দক্ষিণ এবং মধ্য কাশ্মীরের আরও অনেক এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলছে। আগামী কয়েক দিন ধরে তল্লাশি অভিযান চলবে বলে রাজ্য পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘অপরাধ’ কাশ্মীরি, যোগী রাজ্যে রক্তাক্ত দুই ফল বিক্রেতার ভিডিয়ো পোস্ট করলেন অভিযুক্তই!
দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে হামলা চালায় পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। উপত্যকার বাসিন্দা ২০ বছরের আদিল আহমেদ দারের মাধ্যমে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। তাতে ৪০ জন জওয়ান প্রাণ হারান। সেই ঘটনার পর জম্মু-কাশ্মীরের নিরাপত্তা আঁটোসাটো করা হয়। কাশ্মীর উপত্যকার একাধিক জায়গায় মোতায়েন করা হয় নিরাপত্তা বাহিনীকে। শুরু হয় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানও।
আরও পড়ুন: বালাকোটের উপগ্রহ চিত্রে সংশয়, প্রমাণ চায় পুলওয়ামা হামলায় নিহতদের পরিবার
অন্য দিকে, কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা, জেকেএলএফ প্রধান ইয়াসিন মালিককে জম্মু জেলে সরানো হবে, বৃহস্পতিবার এমনটাই জানাল পুলিশ। ২২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করেছিল পুলিশ। কোটিবাগ পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।
সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে এই প্রশ্নগুলি জানতেন?
পুলওয়ামা হামলার প্রেক্ষিতে সম্প্রতি কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের উপর থেকে নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্র। জনসুরক্ষা আইনে(পিএসএ) ইয়াসিন মালিককে আটক করা হয়েছে। ফলে প্রায় দু’ বছর পর্যন্ত তাঁকে বন্দিদশা কাটাতে হতে পারে।