অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড কেলেঙ্কারির দালাল ক্রিশ্চিয়ান মিশেল। —ফাইল চিত্র
অগুস্তা কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ব্রিটিশ নাগরিক ক্রিশ্চিয়ান মিশেলের সঙ্গে যোগাযোগ করার দাবি জানিয়েছে ভারতে নিযুক্ত ব্রিটেনের হাইকমিশন। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, আপাতত ব্রিটিশ সরকারের এই দাবিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না সাউথ ব্লক। মিশেলের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনের কর্তাদের অবশ্যই দেখা করতে দেওয়া হবে। কিন্তু তা এখনই নয়।
মিশেলকে এই মুহূর্তে সিবিআই হেফাজতে রাখা হয়েছে। আইন অনুযায়ী কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা না অনুমতি দিলে তদন্তের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্তকে বাইরের কারও সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয় না। এ ক্ষেত্রে মিশেল যত দিন সিবিআইয়ের হেফাজতে থাকবেন, তত দিন পর্যন্ত ব্রিটিশ দূতাবাসের কোনও অফিসারের সঙ্গে তাঁকে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।
গোটা বিষয়টি নিয়ে ব্রিটেন দিল্লির উপর চাপ তৈরি করতে পারবে না বলেই জানাচ্ছে সাউথ ব্লক সূত্র। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সঙ্গে প্রত্যার্পণ চুক্তির সমস্ত আইনি দিকগুলি সমাপন করে তবেই মিশেলকে আনা হয়েছে বলে জানাচ্ছে ভারতীয় সূত্র।
আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বিদেশের মাটিতে অপরাধ করে আটক হলে, অভিযুক্ত অথবা অপরাধীর স্বদেশের দূতাবাস যোগাযোগ করে (কনসুলার অ্যাকসেস) শরীর স্বাস্থ্যের খোঁজ নেয়। অভিযুক্ত কোনও আইনি সহায়তা চাইলে সহায়তা করে। কূটনৈতিক সূত্রের মতে, মিশেল এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত, অপরাধী নন। তাঁর সঙ্গে যথেষ্ট সংবেদনশীলতা বজায় রেখেই চলা হবে। সূত্রের বক্তব্য, ব্রিটেনের কাছে ভারতের বেশ কয়েকটি প্রত্যর্পণের আবেদন ঝুলে রয়েছে (বিজয় মাল্য, নীরব মোদী)। ফলে মিশেলের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করা হয়, তার পরোক্ষ প্রভাব পড়বে ভারত-ব্রিটেন প্রত্যার্পন চুক্তিতে। সে দিকটিকেও মাথায় রাখা হচ্ছে।
৫৭ বছর বয়সি মিশেলের উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা চিন্তায় রেখেছে সিবিআইকে। জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে যাতে তাঁর শরীর বেশি খারাপ না হয়, সে দিকেও কড়া নজর রাখা হয়েছে। সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, মিশেল সুস্থই রয়েছেন। নিয়মিত তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন ডাক্তাররা।