National

ভারতের প্রতিবেশী এখন সন্ত্রাসের রাজধানী: চিনের সামনেই আক্রমণে মোদী

ব্রিকসের মঞ্চ থেকেও পাকিস্তানকে কঠোর ভাষায আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বললেন, ভারতের প্রতিবেশী দেশই হল পৃথিবীতে সন্ত্রাসের সবচেয়ে বড় ধারক-বাহক। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও স্পষ্ট উচ্চারণে ভারতের পাশে দাঁড়ালেন। তবে দ্বিধা রাখল চিন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৬ ১৭:২২
Share:

সন্ত্রাসের সঙ্গে আর কোনও আপস নয়, বার্তা নরেন্দ্র মোদীর। ব্রিকস সম্মেলনে রবিবার। ছবি: রয়টার্স।

ব্রিকসের মঞ্চ থেকেও পাকিস্তানকে কঠোর ভাষায আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বললেন, ভারতের প্রতিবেশী দেশই হল পৃথিবীতে সন্ত্রাসের সবচেয়ে বড় ধারক-বাহক। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও স্পষ্ট উচ্চারণে ভারতের পাশে দাঁড়ালেন। তবে দ্বিধা রাখল চিন। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক দিতে প্রস্তুত চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। কিন্তু সন্ত্রাসের সঙ্গে পাকিস্তানের নামকে সরাসরি জড়িয়ে দেখাতে এখনও নারাজ শি-এর দেশ।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ দিন বলেছেন, ‘‘সন্ত্রাসের নাগালে এখন গোটা বিশ্বই। সন্ত্রাসবাদীরা এখন অনেক বেশি মারাত্মক হয়ে উঠেছে এবং প্রযুক্তিতেও উন্নত হয়ে উঠেছে।’’ মোদী বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই যেমন প্রত্যেক দেশকে একক ভাবে লড়তে হবে, তেমন যৌথ ভাবেও লড়াই করতে হবে।

চিন একাধিক বার অন্তর্জাতিক মঞ্চে বলেছে, সন্ত্রাসকে বেজিং সমর্থন করে না। কিন্তু সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর পাকিস্তানকে একঘরে করার প্রশ্ন যখনই ওঠে, তখনই চিন বেঁকে বসে। মাসুদ আজহারের মতো জঙ্গির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা জারির প্রস্তাব উঠলে, চিন তা আটকে দেয়। বেজিং এর এই আচরণ দেখে ভারত সহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের অনেকেই মনে করেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়ার বার্তা দিলেও, পাকিস্তানের মাটিতে যে ভারত-বিরোধী সন্ত্রাসের রমরমা, তাকে কিছুটা প্রশ্রয়ই দিতে চায় বেজিং। নরেন্দ্র মোদী এ দিন ঘুরিয়ে তা নিয়ে চিনকে বার্তা দেন। তাঁর কথায়, সন্ত্রাসবাদী নেতা বা সংগঠনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির প্রশ্নে যদি বাছ-বিচার করা হয়, তা হলে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই দুর্বল হবে। শুধু তাই নয়, যে লক্ষ্যে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই, সেই লক্ষ্যে পৌঁছনোর বদলে উল্টো ফলও হতে পারে। পাকিস্তানের নাম মোদী নেননি। তবে তিনি স্পষ্ট ইঙ্গিতে বলেন, ভারতের একটি প্রতিবেশী দেশ হল এখন গোটা বিশ্বের সন্ত্রাসের ‘মাদার-শিপ’ অর্থাৎ সন্ত্রাসের ধারক ও বাহক। ভারতের উন্নয়নে এবং প্রগতিতে সন্ত্রাসবাদ গভীর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলেও মোদী মন্তব্য করেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: পুরনো বন্ধুকে নয়া অস্ত্রে সাজাচ্ছে মস্কো, ভারতে আসছে এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ

দুর্ভেদ্য হচ্ছে ভারতের আকাশ, সৌজন্যে এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ: জেনে নিন

ব্রিকসের মঞ্চ থেকেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়ার কড়া বার্তা দিয়েছেন। সন্ত্রাসবাদীদের এবং তাদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করার তথা তাদের বিচ্ছিন্ন করার নীতি গ্রহণ করতে রাশিয়ার যে আপত্তি নেই, তা তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু চিন সে বিষয়ে খুব উৎসাহ দেখায়নি। সন্ত্রাসের সঙ্গে আপোস না করার কথা যৌথ বিবৃতিতে উল্লেখ করতে চিনের আপত্তি নেই। কিন্তু যে সব রাষ্ট্র সন্ত্রাসে ইন্ধন জোগাচ্ছে (পাকিস্তান), তাদের সরাসরি একঘরে করার ডাক দিতে চিন এখনই রাজি নয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন