National News

এ দেশের ‘মধ্যবিত্ত’রা আসলে মধ্যবিত্ত নয়, বলছে ‘পিউ’ স্টাডি

মার্কিন গবেষণা সংস্থা ‘পিউ রিসার্চ সেন্টার’-এর হালের একটি সমীক্ষা এমনটাই জানাচ্ছে। বলছে, মোট ১২০ কোটি জনসংখ্যার দেশ  ভারতের ৯৫ শতাংশ মানুষই হয় অত্যন্ত গরিব, না হলে নিম্নবিত্ত। আর এ ব্যাপারে বিশ্বের যা হার (৭১ শতাংশ), তাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে ভারত।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০১৮ ১৫:০৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

যতটা ভাবি, ততটা মধ্যবিত্ত নই আমরা! বরং গোটা দুনিয়ার নিরিখে বেশ খানিকটা পিছিয়ে রয়েছি।

Advertisement

উপার্জনের নিরিখে বিশ্বে যাঁদের মধ্যবিত্ত শ্রেণিতে রাখা হয়, ভারতে তাঁদের সংখ্যা নেহাৎই নগণ্য। দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ। ‘দাঁড়িপাল্লা’য় মধ্যবিত্তরা বিশ্বে দাঁড়িয়ে রয়েছেন যেখানে (১৩ শতাংশ), তার চেয়েও অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন ভারতের মধ্যবিত্তরা। এ দেশে সরকার, আমজনতা যাঁদের গায়ে ‘মধ্যবিত্ত’-এর তকমা লাগিয়ে দেন, তাঁরা আদতে নিম্নবিত্তই। কারণ, মানদণ্ডটা হল, দিনে সর্বাধিক ১০ থেকে ২০ মার্কিন ডলার উপার্জন।

মার্কিন গবেষণা সংস্থা ‘পিউ রিসার্চ সেন্টার’-এর হালের একটি সমীক্ষা এমনটাই জানাচ্ছে। বলছে, মোট ১২০ কোটি জনসংখ্যার দেশ ভারতের ৯৫ শতাংশ মানুষই হয় অত্যন্ত গরিব, না হলে নিম্নবিত্ত। আর এ ব্যাপারে বিশ্বের যা হার (৭১ শতাংশ), তাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে ভারত।

Advertisement

তবে ‘পিউ’-এর হালের গবেষণা জানাচ্ছে, উপার্জনের নিরিখে নিম্নবিত্তের হারেই বিশ্বকে সবচেয়ে বেশি পিছনে ফেলে দিয়েছে ভারত। বিশ্বের হার যেখানে ৫০ শতাংশ, সেখানে ভারতে নিম্নবিত্তের হার মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ।

আরও পড়ুন- জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭.২ শতাংশ, চিনকে টপকে ফের দ্রুততম ভারত

আরও পড়ুন- কেন্দ্রের দাবি লক্ষ কোটি, তবু তির রাহুলের​

ওই গবেষণা অবশ্য এও জানাচ্ছে, ভারতে এই একুশ শতকের প্রথম দশকে দারিদ্রের হার যথেষ্টই কমেছে। যা ২০০১ সালে ছিল ৩৫ শতাংশ, তা ২০১১-র আদমসুমারিতে নেমে দাঁড়িয়েছে ২০ শতাংশয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement