এখনই সাবধান হন নরেন্দ্র মোদী। রাশ টানুন দলের নেতাদের বিতর্কিত মন্তব্যে। না হলে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্নের মুখে পড়ে যাবে গোটা দেশের বিশ্বাসযোগ্যতাই। সতর্কবার্তা দিল আন্তর্জাতিক সমীক্ষক সংস্থা মুডি’জ অ্যানালিটিকস।
মুডি’জের সমীক্ষা রিপোর্ট শুধু মোদীর নয়, অস্বস্তি বাড়িয়েছে গোটা ভারতেরই। সমীক্ষকদের আশঙ্কা, প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর দলকে এখনই নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে চড়া মূল্য চোকাতে হবে ভারতকে। আন্তর্জাতিক স্তরে সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য সমীক্ষক সংস্থাগুলির অন্যতম মুডি’জ অ্যানালিটিকসের রিপোর্টে ভারতের গোমাংস বিতর্ক এবং বিজেপি নেতা-সাংসদ-মন্ত্রীদের নানা প্ররোচনামূলক মন্তব্যের কথা উঠে এসেছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর থেকে স্পষ্ট যে এই বিতর্ক আর শুধু ভারতের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। একবিংশ শতাব্দীর ভারতে নাগরিকদের খাওয়া-পরার পছন্দ শাসক দল ও তাদের ঘনিষ্ঠরা স্থির করে দিচ্ছেন দেখে চোখ কপালে উঠেছে আন্তর্জাতিক মহলেরও। বিশেষজ্ঞদের মতে, মুডি’জ-এর রিপোর্টে বিজেপি’র সাম্প্রদায়িক রাজনীতির উল্লেখ গোটা বিশ্বের সামনে ভারতকে লজ্জায় ফেলেছে। বিষয়টি যথেষ্ট উদ্বেগেরও। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ স্লোগান দিয়ে যখন গোটা বিশ্বকে ভারতে ডেকে আনতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী, তখন তাঁর দলের তরফে ‘অসহিষ্ণু রাজনীতি’ এবং তাতে সরকারের ‘নীরব প্রশ্রয়’ ভারতের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করছে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। নরেন্দ্র মোদী তাঁর দলের নেতাদের বেলাগাম মন্তব্য ও সাম্প্রদায়িক অসহিষ্ণুতায় এখনই রাশ টানতে না পারলে, বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থা ভারতে পা রাখতে ভয় পাবে বলে অনেকে মনে করছেন। এতে ধাক্কা খেতে পারে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি। এমনকী রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদের অন্যতম দাবিদার হয়ে ওঠার জায়গা থেকেও ভারতকে অনেকটা পিছনে ঠেলে দিতে পারে দেশের মধ্যে জাতিগত অসহিষ্ণুতার এই বাতাবরণ।