—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পহেলগাঁও কাণ্ডের পর তৈরি করা হয়েছিল ১৪ জন স্থানীয় জঙ্গির ‘হিট লিস্ট’। জম্মু-কাশ্মীরের শোপিয়ান এবং ত্রালে গত তিন দিনের সেনা অভিযানে সেই তালিকায় থাকা ছয় জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে সেনা সূত্রের দাবি। এখনও আরও আট জঙ্গি রয়েছে। সেই জঙ্গিরা কোথায়, তার হদিস পেতে জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে সেনা অভিযান জারি।
পহেলগাঁও কাণ্ডের পর স্থানীয় জঙ্গিদের তালিকা তৈরি করে তাদের অনেকের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে সেনা এবং প্রশাসন। জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছিল। গত মঙ্গলবারেই শোপিয়ানে তিন জঙ্গির উপস্থিতির খবর পায় সেনা এবং পুলিশ। তার পরই অভিযানে যায় তারা। দু’পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই চলে। সেনা সূত্রে জানানো হয়, ওই অভিযানে তিন জঙ্গি নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ত্রালে সেনার সঙ্গে জঙ্গিদের সংঘর্ষ হয়। এই অভিযানেও তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, শোপিয়ানে যে তিন জঙ্গি নিহত হয়েছে, তারা লশকর জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত ছিল। ত্রালে যে তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে তারা জইশ জঙ্গিগোষ্ঠীর।
‘অপারেশন কেলার’-এ শোপিয়ানে যে তিন জঙ্গি নিহত হয়েছে, তারা হল, শাহিদ কুট্টে, আদনান শফি দার, এহসান আহমেদ শেখ। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ত্রালে সেনার ‘অপারেশন নাদের’-এ যে তিন জঙ্গি নিহত হয়েছে, তারা হল, আসিফ আহমেদ শেখ (২৮), আমির নাজ়ির ওয়ানি (২০) এবং ইয়াওয়ার আহমেদ ভাট। তিন জনেই পুলওয়ামার বাসিন্দা। আসিফ জইশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে যুক্ত ছিল। সে অবন্তীপোরার জেলা কমান্ডার। ২০২২ সাল থেকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত আসিফ। আমির ২০২৪ সাল থেকে পুলওয়ামায় বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। ইয়াওয়ারও তা-ই। সে-ও গত বছর থেকেই পুলওয়ামায় সক্রিয় ছিল।
তালিকায় থাকা যে আট জঙ্গির খোঁজ চলছে, তারা হল—
আদিল রহমান দেন্তু: সোপোরে লশকর কমান্ডার। ২০২১ সাল থেকে সক্রিয়।
হরিশ নাজির: পুলওয়ামার লশকর জঙ্গি।
আসিফ আহমেদ কন্ডে: শোপিয়ানে সক্রিয়। হিজবুল জঙ্গি। পাকিস্তানি জঙ্গিদের মদতদাতা।
নাসির আহমেদ ওয়ানি: লশকর জঙ্গি। শোপিয়ানে সক্রিয়।
আমির আহমেদ দার: ২০২৩ সাল থেকে শোপিয়ানে সক্রিয়। লশকর এবং টিআরএফের হয়ে কাজ করে।
জুবের আহমেদ ওয়ানি: অনন্তনাগে হিজবুলের অপারেশনাল কমান্ডার। ২০১৮ সাল থেকে সক্রিয়।
হারুন রশিদ গনি: অনন্তনাগে হিজবুলের সক্রিয় সদস্য। জুবের আহমেদ গনি: কুলগামে সক্রিয় লশকর জঙ্গি।
জুবেইর আহমেদ গনি: কুলগামে সক্রিয় লশকর জঙ্গি।
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় ২৬ জনকে খুন করে জঙ্গিরা। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক অস্থিরতার সৃষ্টি হয়। গত ৭ মে পাকিস্তানের মাটিতে প্রত্যাঘাত করে। অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। আর তার পর থেকে পাকিস্তান ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলার চেষ্টা করে। যদিও সব হামলাই প্রতিহত করেছে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।