পাকিস্তান সীমান্ত দিয়ে জাল নোট ঢোকার ঘটনা শূন্যে নেমে এলেও বাড়বাড়ন্ত বাংলাদেশ সীমান্তে। গত এক বছরে এই এলাকা থেকে জাল নোট উদ্ধারের পরিমাণ প্রায় তিন গুণ বেড়েছে। কেন্দ্রের মতে, জাল টাকা ঢোকাতে এখন পশ্চিমবঙ্গ ও অসমকেই পাখির চোখ করেছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। এবং দুই রাজ্যেই বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘ খোলা সীমান্ত তাদের অনেকটাই সুবিধা করে দিচ্ছে বলে কেন্দ্রের মত।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তাদের মতে, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের বেশির ভাগ অংশে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে দেওয়ায় ওই এলাকা দিয়ে জাল নোটের চোরাচালান কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। জাল নোট ধরা পড়ার সংখ্যা কমেছে নেপাল, ভুটান এবং মায়ানমার সীমান্তেও। ফলে বাংলাদেশ দিয়ে এ দেশে জাল টাকা ঢোকাতে সক্রিয় আইএসআই।
নোট বাতিলের পরে সরকার আশা করেছিল জাল নোটের রমরমা কমবে। কিন্তু দু’মাসের মধ্যেই মালদহে নকল নতুন দু’হাজার টাকার নোট মেলাটা কেন্দ্রের দুশ্চিন্তা বাড়ায়। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বাংলাদেশ সীমান্তে জাল নোট ধরার মেশিনও অপর্যাপ্ত।
স্বরাষ্ট্র কর্তাদের আশঙ্কা, বাড়তি মেশিন অবিলম্বে জুগিয়ে উঠতে না পারলে জাল নোটের কারবারিরা আরও বেশি করে জাল নোট ঢোকাতে সক্ষম হবে।